প্রশ্ন
নফল পড়া অবস্থায় পিতা মাতা ডাকার পর কেউ যদি তাদেরকে জানিয়ে দেয় যে, আমি নামায পড়ছি এবং তারা আর না ডাকে তাহলে কি তাদের ডাকে সাড়া দিতে হবে?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
পিতা মাতা কোনো কারণে ডাকলে সন্তানের জন্য তাদের ডাকে সাড়া দেওয়া উচিৎ। কারণ এটাও তাদের সাথে সদাচারের অন্তর্ভুক্ত। কুরআন মাজিদে ইরশাদ হয়েছে,
وَقَضَى رَبُّكَ أَلَّا تَعْبُدُوا إِلَّا إِيَّاهُ وَبِالْوَالِدَيْنِ إِحْسَانًا إِمَّا يَبْلُغَنَّ عِنْدَكَ الْكِبَرَ أَحَدُهُمَا أَوْ كِلَاهُمَا فَلَا تَقُلْ لَهُمَا أُفٍّ وَلَا تَنْهَرْهُمَا وَقُلْ لَهُمَا قَوْلًا كَرِيمًا (٢٣) وَاخْفِضْ لَهُمَا جَنَاحَ الذُّلِّ مِنَ الرَّحْمَةِ وَقُلْ رَبِّ ارْحَمْهُمَا كَمَا رَبَّيَانِي صَغِيرًا
‘আর তোমার রব আদেশ দিয়েছেন যে, তোমরা তাঁকে ছাড়া অন্য কারো ইবাদাত করবে না এবং পিতা-মাতার সাথে সদাচরণ করবে। তাদের একজন অথবা উভয়েই যদি তোমার নিকট বার্ধক্যে উপনীত হয়, তবে তাদেরকে ‘উফ’ বলো না এবং তাদেরকে ধমক দিও না। আর তাদের সাথে সম্মানজনক কথা বল।আর তাদের উভয়ের জন্য দয়াপরবশ হয়ে বিনয়ের ডানা নত করে দাও এবং বল, ‘হে আমার রব, তাদের প্রতি দয়া করুন যেভাবে শৈশবে তারা আমাকে লালন-পালন করেছেন’।’ [সূরা ইসরা, আয়াত: ২৩-২৪]
তবে কেউ যদি ফরজ নামাযরত থাকে আর পিতা মাতা এমনিতেই ডেকে থাকে তাহলে ফরজ নামায শেষ করে তারপর তাদের ডাকে সাড়া দিবে। আর যদি বিশেষ প্রয়োজনে ডাকে তাহলে নামায ছেড়ে দিয়ে তাদের ডাকে আগে সাড়া দিবে।
আর যদি নামাযটি সুন্নত বা নফল হয় তাহলে সর্বাবস্থায় তাদের ডাকে আগে সাড়া দিবে।
তবে প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে যেহেতু পিতা মাতা তাৎক্ষণিক সাড়া না দেওয়ার বিষয়টি মেনে নিয়েছে তাই নামায শেষ করেই সাড়া দিবে।
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم