প্রশ্ন
আমার গর্ভে তিন মাসের বাচ্চা নষ্ট হয়ে গিয়েছে। ময়লা পরিষ্কারের জন্য ডাক্তার ঔষুধ দিয়েছে। আমি সেই ঔষুধ খাচ্ছি। ২০ দিন হলো ব্লাড আসছে। একটুও কমে নাই। এখন কি আমি নামাজ আদায় করতে পারব?
উত্তর
بسم الله الرحمن الرحيم
حامدا و مصليا و مسلما
পেটে বাচ্চা আসার পর তা প্রসব বা নষ্ট হওয়ার পর যে রক্ত আসে, তা তখনই নেফাস হিসেবে ধর্তব্য হবে যখন বাচ্চার পূর্ণ শরীর বা আংশিক যেমন হাত, পা ইত্যাদি গঠন হওয়ার পর হয়ে থাকে। যদি এর আগে হয়, তাহলে উক্ত রক্ত নেফাসের রক্ত বলে সাব্যস্ত হবে না।
আর ফুক্বাহায়ে কেরামগণ সেই সময়ের সীমা বলেছেন ১২০ দিন। সুতরাং যেহেতু আপনার স্ত্রীর গর্ভ নষ্ট হয়ে গেছে তিন মাসে। এর মানে ১২০ দিন হয়নি। তাই গর্ভ নষ্ট হয়ে যাবার পরের রক্ত নিফাস হিসেবে সাব্যস্ত হবে না।
এক্ষেত্রে গর্ভ আসার পর থেকে নিয়ে যদি কমপক্ষে পনের দিন পর্যন্ত রক্ত না আসে; যেমনটি আপনার বক্তব্য দ্বারা বুঝা যায়, তাহলে গর্ভ নষ্ট হবার পর যে রক্ত এসেছে তা হায়েজের রক্ত বলে সাব্যস্ত হবে। সেই রক্ত যেহেতু জারি আছে, তাই আপনার স্ত্রীর নিয়মিত মাসিক যতো দিন হতো, সেটা হায়েজের সময়। সময় শেষ হবার পরের রক্তগুলোকে ইস্তিহাজার রক্ত ধরা হবে। যেমন যদি প্রতি মাসে সাত দিন রক্ত আসতো, তাহলে সেই সাত দিন অতিক্রান্ত হবার পরের সময়টা ইস্তিহাজার রক্ত হিসেবে সাব্যস্ত হবে। সেই হিসেবে বর্তমানে আপনার স্ত্রীর উপর নামায পড়া আবশ্যক। কারণ, তা হায়েজ বা নেফাসের রক্ত নয় বরং ইস্তিহাজার রক্ত।
-রদ্দুল মুহতার ১/৫০০-৫০২; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/১৯; কিতাবুল ফিক্বহ আলাল মাযাহিবিল আরবাআহ ১/১৩২
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم