প্রশ্ন
আমি কানাডায় একটি বারে ওয়েটার হিসেবে কর্মরত। এখানে কখনো কখনো আমাকে মদ পরিবেশন করতে হয়। মদ পরিবেশন করতে গিয়ে মাঝে মাঝে তা জামায় লেগে যায়। আমার প্রশ্ন হল, সেই জামা নিয়ে নামাজ পড়তে কোনো সমস্যা আছে কি?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
ইসলামি শরিয়তে মদ হারাম ও নাপাক। কুরআন মাজিদে ইরশাদ হয়েছে,
يَاأَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِنَّمَا الْخَمْرُ وَالْمَيْسِرُ وَالْأَنْصَابُ وَالْأَزْلَامُ رِجْسٌ مِنْ عَمَلِ الشَّيْطَانِ فَاجْتَنِبُوهُ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ
‘হে মুমিনগণ, নিশ্চয় মদ, জুয়া, প্রতিমা-বেদী ও ভাগ্যনির্ধারক তীরসমূহ তো নাপাক শয়তানের কর্ম। সুতরাং তোমরা তা পরিহার কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও।’ [সূরা মায়েদা, আয়াত: ৯০]
কাজেই তা জামায় লাগলে জামা নাপাক হয়ে যাবে। ধোয়া ছাড়া ঐ জামা দিয়ে নামাজ পড়া বৈধ হবে না।
উল্লেখ্য, ইসলামি শরিয়ত মোতাবেক মদের সাথে সব ধরনের সম্পৃক্ততা পরিহার করা জরুরি। শুধু মদ পানই নয়, যারা মদ পরিবেশন করে তাদের প্রতিও রাসূল (সা.) লানত করেছেন। হাদিস শরিফে এসেছে, রাসূল (সা.) বলেছেন,
لَعَنَ اللَّهُ الْخَمْرَ، وَشَارِبَهَا، وَسَاقِيَهَا، وَبَائِعَهَا، وَمُبْتَاعَهَا، وَعَاصِرَهَا، وَمُعْتَصِرَهَا، وَحَامِلَهَا، وَالْمَحْمُولَةَ إِلَيْهِ
‘মদ, তা পানকারী, পরিবেশনকারী বিক্রেতা, ক্রেতা, উৎপাদক ও শোধনকারী, যে উৎপাদন করায়, সরবরাহকারী এবং যার জন্য সরবরাহ করা হয়- এদের সকলকে আল্লাহ লানত করেছেন।’ [সুনানে আবু দাউদ, হাদিস: ৩৬৭৪]
সুতরাং আপনার জন্য আবশ্যক হল, অতিসত্ত্বর বারের চাকরি ছেড়ে দিয়ে হালাল কোনো চাকরির ব্যবস্থা করা।
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم