প্রশ্ন
কেউ কেউ বলে, রাসূল (সা.) মেরাজের রাতে নব্বই হাজার কালাম লাভ করেছেন। এর মধ্যে ত্রিশ হাজার কালাম যাহেরি। এগুলো উলামায়ে কেরাম জানেন। বাকি ষাট হাজার শুধু আলী (রা.) জানেন। তার নিকট থেকে পরবর্তীতে যুগ পরম্পরায় সূফীরা তা লাভ করেছে। এটি কি সঠিক বিষয়?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
উক্ত কথাটি ভিত্তিহীন কথা। কারণ এর মাধ্যমে আল্লাহর ব্যাপারে ধারণা হয় যে, তিনি মানুষকে দুই ধরনের শরিয়ত দান করেছেন। এবং উভয়টি পরস্পর বিরোধী। এটি আল্লাহর উপর মিথ্যা আরোপ।
দ্বিতীয়ত এ থেকে রাসূল (সা.) এর উপরও এই অপবাদ আরোপিত হয় যে, তিনি পূর্ণ শরিয়ত উম্মাহর সকল মানুষকে না জানিয়ে শুধু একজনকে গোপনে জানিয়ে গেছেন।
তাছাড়া হাদিস শরিফে এসেছে-
عن عامر بن واثلة قال سأل رجل عليا هل كان رسول الله صلى الله عليه و سلم يسر إليك بشيء دون الناس فغضب علي حتى احمر وجهه وقال ما كان يسر إلي شيئا دون الناس غير أنه حدثني بأربع كلمات وأنا وهو في البيت فقال لعن الله من لعن والده ولعن الله من ذبح لغير الله ولعن الله من آوى محدثا ولعن الله من غير منار الأرض
‘আমের ইবনে ওয়াসেলা বলেন: এক ব্যক্তি আলী (রা.)কে জিজ্ঞেস করল: রাসূল (সা.) কি আপনাকে গোপনে কিছু বলে গিয়েছেন? এ কথা শুনে আলী (রা.)-এর মুখমণ্ডল লাল হয়ে গেল। তিনি বলেন: রাসূল (সা.) আমাকে লোকদের অগোচরে কেবল চারটি জিনিস বলেছিলেন। তখন আমরা ছিলাম ঘরের ভেতর। এ ছাড়া আর কিছু তিনি আমাকে লোকদের অগোচরে বলেননি।
সেগুলো হল, যে তার পিতাকে লানত করে আল্লাহ তাকে লানত করেন। যে গাইরুল্লাহর নামে জবাই করে আল্লাহ তার উপর লানত করেন। যে কোন বিদআতীকে আশ্রয় দেয় আল্লাহ তাকে লানত করেন। যে জমির চিহ্ন এদিক-সেদিক করে আল্লাহ তাকে লানত করেন।’ [সুনানে নাসায়ি ২/১৮৩-১৮৪]
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم