প্রশ্ন
আমি একটি মাদরাসায় পড়াই। মাদরাসার আর্থিক দুরবস্থার কারণে প্রায় পঞ্চাশ হাজার টাকা আমার বকেয়া বেতন বাকি রয়েছে। এমতাবস্থায় কি আমার এ টাকার যাকাত আদায় করা লাগবে?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
নেসাব পরিমাণ মালের মালিক হলে এবং নেসাবের উপর এক বছর অতিক্রান্ত হলে তার উপর যাকাত ওয়াজিব হয়। কুরআন-হাদিসে যাকাত আদায়ের গুরুত্ব সম্পর্কে বহু আয়াত ও হাদিস রয়েছে।
হাদিস শরিফে এসেছে-
عن أبي هُريرة قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: “مَنْ آتَاهُ اللهُ مَالا فَلَمْ يُؤَدِّ زَكَاتَهُ مُثِّلَ له شُجَاعًا أقرعَ له زبيبتان، يُطَوّقُه يوم القيامة، يأخذ بلِهْزِمَتَيْه -يعني بشدقَيْه-يقول: أنا مَالُكَ، أنا كَنزكَ” ثم تلا هذه الآية: { وَلا يَحْسَبَنَّ الَّذِينَ يَبْخَلُونَ بِمَا آتَاهُمُ اللَّهُ مِنْ فَضْلِهِ هُوَ خَيْرًا لَهُمْ بَلْ هُوَ شَرٌّ لَهُمْ } إلى آخر الآية
আবূ হুরায়রা রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা.) বলেন: যাকে আল্লাহ তাআলা সম্পদ দান করেছেন, কিন্তু সে সম্পদের যাকাত আদায় করেনি কিয়ামাতের দিন তার সম্পদকে বিষধর স্বর্পরূপে উপস্থিত করা হবে এবং তা তার গলায় পেঁচিয়ে দেওয়া হবে। সাপটি তার অধরপ্রান্তে দংশন করবে এবং বলবে: আমিই তোমার মাল। আমিই তোমার পুঞ্জিভূত সম্পদ। অতঃপর তিনি এই আয়াত তিলাওয়াত করেন-
وَلَا يَحْسَبَنَّ الَّذِينَ يَبْخَلُونَ بِمَا آتَاهُمُ اللَّهُ مِنْ فَضْلِهِ هُوَ خَيْرًا لَهُمْ بَلْ هُوَ شَرٌّ لَهُمْ سَيُطَوَّقُونَ مَا بَخِلُوا بِهِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَلِلَّهِ مِيرَاثُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ وَاللَّهُ بِمَا تَعْمَلُونَ خَبِيرٌ
‘আর আাল্লাহ নিজ অনুগ্রহে যা দিয়েছেন তাতে যারা কৃপণতা করে তারা যেন কিছুতেই মনে না করে যে, এটা তাদের জন্য মঙ্গল। না, এটা তাদের জন্য অমঙ্গল। সে সম্পদে তারা কৃপণতা করেছে কিয়ামাতের দিন তা-ই তাদের গলার বেড়ি হবে। আসমান ও যমীনের স্বত্বাধিকার একমাত্র আল্লাহরই। তোমরা যা কর আল্লাহ তা সবিশেষ অবগত।’ [সহিহ বুখারি, হাদিস: ১৪০৩]
তবে যে বেতন আপনি এখনো হস্তগত করেননি তার যাকাত আদায় করা লাগবে না। আপনি যখন তা হস্তগত করবেন তখন থেকে তা যাকাতযোগ্য বলে ধরা হবে। এর পূর্বে নয়।
আদদুররুল মুখতার ২/৩০৫, রদ্দুল মুহতার ২/৩০৬
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم