প্রশ্ন
আমার এক কাজিনের খতনা হয়েছে। তার পিতা চাচ্ছে এ উপলক্ষ্যে খাওয়া দাওয়ার আয়োজন করতে। আমার প্রশ্ন হলো, খতনা উপলক্ষ্যে কোনো অনুষ্ঠানের আয়োজন করা যাবে কি?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
খতনা উপলক্ষ্যে কোনো অনুষ্ঠানের আয়োজন করার প্রমাণ কুরআন হাদিসের কোথাও বিদ্যমান নেই। তাই এটি পালন করা উচিৎ নয়। আর যদি এটাকে কোনো বিশেষ আমল মনে করা হয় তাহলে তা বিদআত হয়ে যাবে। আর বিদআত অবশ্যই পরিত্যাজ্য।
হাদিস শরিফে এসেছে,
فَعَلَيْكُمْ بِسُنَّتِي وَسُنَّةِ الْخُلَفَاءِ الرَّاشِدِينَ الْمَهْدِيِّينَ تَمَسَّكُوا بِهَا وَعَضُّوا عَلَيْهَا بِالنَّوَاجِذِ وَإِيَّاكُمْ وَمُحْدَثَاتِ الْأُمُورِ فَإِنَّ كُلَّ بِدْعَةٍ ضَلَالَةٌ
‘রাসূল (সা.) ইরশাদকরেছেন,তোমাদের জন্য আবশ্যক আমার ও আমার পরবর্তী হেদায়াতপ্রাপ্ত খোলাফায়ে রাশেদার সুন্নাতকে এমনভাবে আঁকড়ে ধরা যেভাবে দাঁত দিয়ে কোনো জিনিস দৃঢ়ভাবে কামড়ে ধরা হয়। আর শরিয়তে নিত্য নতুন জিনিস আবিষ্কার করা হতে বেঁচে থাক। কেননা সকল নবসৃষ্ট বস্তুই বিদআত। আর প্রত্যেক বিদআতই গোমরাহী।’ [আবু দাউদ, হাদিস: ৪৬০৭]
আরেক হাদিসে এসেছে,
مَنْ أَحْدَثَ فِي أَمْرِنَا هَذَا مَا لَيْسَ مِنْهُ فَهُوَ رَدٌّ
‘রাসূল (সা.) ইরশাদ করেছেন,যে আমাদের দ্বীনের মধ্যে এমন কিছু প্রবর্তন করে যা এর অন্তর্ভুক্ত নয়, তা প্রত্যাখ্যাত।’ [সহিহ বুখারি, হাদিস: ২৬৯৭; সহিহ মুসলিম, হাদিস: ১৭১৮]
সুতরাং এ জাতীয় অনুষ্ঠান আয়োজন করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
ফাতহুল বারী ১১/৯২, ৯/৫০৩, ১০/৩৫৫, ৪/৪১৩; রদ্দুল মুহতার ৬/৭৫১-৭৫২, ৬/২৮২; খুলাসাতুল ফাতাওয়া ২/১৩২; আলবাহরুর রায়েক ৭/৯৫-৯৬
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم