প্রশ্ন
আমার নাম মুহাম্মাদ কামাল হোসাইন। আমি আপনাদের কাছে দোয়ার ফযিলত সম্পর্কে জানতে চাচ্ছি।
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
দোয়া করা মুমিন বান্দার শান। মুমিন বান্দা সব সময় তার চাওয়ার কথা মহান রবের কাছে তুলে ধরে। আল্লাহ তাআলা মুমিন বান্দাকে দোয়া করার কারণে বিশেষ পুরস্কার দান করেন।
হাদিস শরিফে এসেছে,
عَنْ أَبِي سَعِيدٍ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَا مِنْ مُسْلِمٍ يَدْعُو بِدَعْوَةٍ لَيْسَ فِيهَا إِثْمٌ وَلَا قَطِيعَةُ رَحِمٍ إِلَّا أَعْطَاهُ اللَّهُ بِهَا إِحْدَى ثَلَاثٍ إِمَّا أَنْ تُعَجَّلَ لَهُ دَعْوَتُهُ وَإِمَّا أَنْ يَدَّخِرَهَا لَهُ فِي الْآخِرَةِ وَإِمَّا أَنْ يَصْرِفَ عَنْهُ مِنْ السُّوءِ مِثْلَهَا قَالُوا: إِذًا نُكْثِرُ قَالَ: اللَّهُ أَكْثَر
আবু সাঈদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘মুসলমান যখন অন্য কোনো মুসলমানের জন্য দোয়া করে, যার মধ্যে কোনোরূপ গোনাহ বা আত্মীয়তা ছিন্ন করার কথা থাকে না, আল্লাহপাক উক্ত দোয়ার বিনিময়ে তাকে তিনটির যেকোনো একটি দান করে থাকেন।
১. তার দোয়া দ্রুত কবুল করেন
২. তার প্রতিদান আখেরাতে প্রদান করার জন্য রেখে দেন অথবা
৩. তার থেকে অনুরূপ আরেকটি কষ্ট দূর করে দেন।
একথা শুনে সাহাবিগণ (রা.) উৎসাহিত হয়ে বললেন, ‘তাহলে আমরা বেশি বেশি দোয়া করবো। রাসূলুল্লাহ (সা.) বললেন, আল্লাহ তার চাইতে আরও বেশি দোয়া কবুলকারী। [মুসনাদে আহমাদ, হাদিস: ১১১৩৩]
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم