নায়িকা খোঁজার আড়ালে অঘোষিত সুন্দরী প্রতিযোগীতা: ইসলামী দৃষ্টিকোন
ড.মুহাম্মাদ খলিলুর রহমান মাদানী
সুজলা সুফলা শস্যশ্যামলা প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপূর আমাদের দেশ বাংলাদেশ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি আমদের জনবহুল এ দেশে বিভিন্ন জাতি পেশা ও বর্ণের লোক থাকার পরও বিশ্বর মানচিত্রে সবচেয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশে বাংলাদেশ। কোন প্রকার বর্ণবাদী বিদ্রোহ, জাতিগত কলহ ও সম্প্রাদায়িক দাংগা এদেশে নেই। আন্তর্জাতিক ভাবে স্বীকৃতি সবচেয়ে সম্প্রদায়িকক সম্প্রীতির এদেশের মুসলমানগণ অন্য সকল আদর্শের প্রতি পূর্ন শ্রদ্ধা রেখে তাদের পূর্ন ধর্মীয় ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে। প্রত্যেক ধর্মের লোকেরা যার যার স্বকীয়তা নিয়ে আপন আপন ধর্ম পালন করবে এটিই স্বাভাবিক। উল্লেখ্য যে- শালীন পোষাক পরিধান করা সকল ধর্মেই উৎসাহ দেয়া হয়েছে। অশ্লীলতা, বেহায়াপনা ইত্যকার সমাজ বিধংসী কাজ সব ধর্মেই নিষিদ্ধ। অথচ ইদানিং বিভিন্ন মিডিয়া “নায়িকা খোঁজার” আড়ালে মেয়েদেরকে উলংগ করার মত সর্বনাশী কাজে লিপ্ত রেেয়ছে। বিভিন্ন চ্যানেল নয়িকা খোঁজার অজুহাতে গ্রাম-গঞ্জের সরলপ্রাণ মেয়েদেরকে অর্ধনগ্ন করে অশ্লীলতা, বেহায়াপনার চুড়ান্ত প্রান্তে ঠেলে দিচ্ছে। তাদেরকে কাতারে কাতারে সামান্য কয়েক ইঞ্চি পোষাক পরায়ে দীর্ঘক্ষণ দাড়িয়ে রেখে বিভিন্ন যৌন সুড়সুড়ির প্রদর্শন করায়ে নারী জাতির মান-সম্মান ভুলুন্ঠিত করছে। ইসলামে যে পর্দার বিধান দিয়েছে তাতেই একমাত্র নারী জাতির সঠিক মর্যদা রক্ষা করা হয়েছে। আর সাময়িক লোভ দেখিয়ে যে মেয়েদেরকে বেপর্দায় নেয়া হয়েছে সে মেয়েরাই সমাজের বোঝা হয়ে যায়।
ব্যভিচার, হত্যা, ধর্ষন, নারী নির্যাতন ইত্যকার সকল সামাজিক মরণ ব্যাধি সমুহের মূলেই হলো অশ্লীলতা ও বেহায়পনা। তাই ইসলাম বারবার নারীদেরকে শালীন পোষাকে থাকার জন্য বিধান দিয়েছে।
ইসলামে পর্দার বিধান:-
কুরআন ও হাদীসে বারবার নারীদেরকে সুন্দর ও শালীন পোষাকে চলার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আল্লাহতায়ালার বাণী-
قل للمؤمنات يغضضن من أبصارهن ويحفظن فروجهن ولا يبدين زينتهن الا ما ظهر منها- (نور-৩১)
অর্থ- হে নবী! আপনি মুমিন মহিলাদের জানিয়ে দিন যে, তারা যেন দৃষ্টিকে অবনত রাখে এবং লজ্জাস্থান সমূহকে হেফাজত করে এবং তারা যেন তাদের সৌন্দর্যকে প্রকাশ না করে। তবে যা এমনিতেই বাহির হয়ে যায় সেটা ভিন্ন কথা।( সুরা নুর-আয়াত-৩১)
এ আয়াত থেকে স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে যে, স্ত্রীদের সমস্ত শরীর ঢেকে রাখতে হবে তবে যা এমনিতেই বের হয়ে থাকে তা এ হুকুমের আওতাধীন হবে না। আর তা হলো হাতের কব্জা ও মুখমন্ডল। আর এ জন্য হজ্জে মহিলাদেরকে এ অংগদ্বয় ঢাকতে হয় না। অবশ্য কতিপয় আলেম সমস্ত শরীরকে সতর বলেন- তারা এ আয়াতের ব্যাখ্যা এভাবে করেন- আয়াতের মধ্যে উল্লেখ্য “তবে যা অনিচ্ছাকৃত ভাবে বের হয়ে যায়” এর অর্থ হলো চলা ফেরা ও নড়া-চড়ার সময় যে সমস্ত অংশ অনিচ্ছায় প্রকাশ হয়ে যায় তাহাই বুঝানো হয়েছে। অতএব হাত-মুখ বাদ যাবেনা বরং সমস্ত শরীরই পর্দা হিসাবে গন্য হবে।
হিযাবুল মারযাহঃ গ্রন্থের ৪১ পৃষ্ঠায় বলা হয়েছে হাত ও মুখ খোলা থাকতে পারবে তবে শর্ত হলো মুখে ও হাতে কোন শোভাবর্ধক জিনিষ থাকবে না, যদি থাকে তাহলে তা ঢেকে রাখতেই হবে। বিশেষ করে বর্তমান ফেতনা-ফাসাদের যুগে মেয়েরা যখন রং-বেরং এর কসমেটিকস ও সৌন্দর্য বর্ধক বস্তু ব্যবহারের মাধ্যমে নিজেদের রূপ লাবন্য প্রকাশের উদ্দেশ্য না ভংগিতে সাজতে থাকে। তাই এমতাবস্থায় মুখ ঢেকে চললেই শরীয়তের দৃষ্টিতে পর্দার উদ্দেশ্য অধিক সফল হবে। অধিকাংশ ইলমগণ এ মতেরই প্রবক্তা। অতএব ফেৎনা হতে পারে এমতাবস্থায় হাত ও মুখ খোলা রাখা যাবেনা। ( নেহায়া-২:৮ ইয়ানা ১:১১৩পৃ:)
হযরত আবু হোরায়রা (রাঃ)বলেন, রাসূল (সঃ)ঐ সমস্ত পূরুসদের অভিসম্পাত করেছেন যারা স্ত্রীদের সাদৃস পোষাক পরে। আর ঐ সমস্ত স্ত্রীদেরও যারা পূরুষদের মত পোষাক পরে। (আবু দাউদ ২ঃ১৮২ পৃঃ)
হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) হতে অপর এক হাদীসে এসেছে যে সমস্ত পূরুষেরা মেয়েদের সাজে সাজতে চায়, আর যে সমস্ত নারীরা পূরুষদের সাজে সাজতে চায়, আল্লাহর রসূল (সঃ) তাদের কে অভিশাপ বা লানত দিয়েছেন এবং এমন ধরনের লোকদের ব্যাপারে রাসূল (সঃ) বলেন তাদের কে ঘর থেকে বের করে দাও, এবং নবী কারীম (সঃ) নিজেই এক ব্যক্তিকে বহিস্কার করেছিলেন। অনুরুপ ভাবে হযরত ওমর (রা) ও এক ব্যক্তিকে বহিস্কার করেন। (বোখারী২ঃ৩০৫ পৃঃ)
এ সমস্ত হাদীস থেকে স্পষ্টই প্রতিয়মান হয় যে, নারী-পূরুষদের একই ধরনের পোষাক পরিধান করা হারাম। আল্লামা যাহাবী (রঃ) বলেন, অতএব কোন নারী যদি পুরুষের মত বুক, গলা ও টাইট ফিট হাতা বিশিষ্ট পোষাক পরে তবে সে আল্লাহ ও রাসুল (সাঃ) এর লানাতে পরিনত হবে। (আল কাবায়ের-১২৯পৃ:)
আল্লামা সায়্যেদ সাবেক বলেন-ইসলাম চায় যে, মহিলাদের স্বভাব পুরুষদের থেকে ভিন্ন হবে। আর তার বেশ-ভুষা শালিন হবে, অনুরুপ ভাবে পুরুষেদেরও । অতএব উভয়ের জন্য এক ধরনের পোষাক ব্যবহার করা ইসলাম হারাম ঘোষনা করেছে। (ফিকহুস সুন্নাহ-১ঃ৩৬৬পৃ:)
অতএব আধুনিক যুগে কতিপয় প্রগতিবাদী মহিলারা প্যান্ট-সার্ট পরে দেহ প্রদর্শনী করে ঘুরে বেড়ায় ইহা সম্পূর্ন হারাম। যদিও উহা মোটা কাপড় হওয়ার কারনে সতর ঢাকার জন্য বেশী উপযোগী। কেননা সারা বিশ্বে ইহা পুরুষের পোষাক বলেই পরিচিত বিধায় মেয়েদের ইহা জায়েজ নেই।
হাদীসে বলা হয়েছে- “যদি কোন মহিলা মাহরাম অথবা স্বামী ব্যতিত সফরের রাস্তা অতিক্রম করে তবে সে বেশ্যার নামান্তর ”
অন্য হাদীসে বলা হয়েছে- “শেষ যুগে এমন এক শ্রেনীর মেয়েদেরকে দেখা যাবে যারা উলংগবাহার কাপড় পরবে। তারা পুরুষদে দিকে আকৃষ্ট হবে অথবা পুরুষদেরকে তাদের দিকে আকৃষ্ট করবে। তাদের মাথায় থাকবে মোরগের খোঁপার ন্যায়। তারা জান্নাতের ঘ্রানও পাবে না। (তারবানী শরীফ)
পুরুষদের সাজে মেয়েদের সজ্জিত হওয়াঃ-
এ সমস্ত মেয়েরা মিডিয়ার সামনে নিজেদেরকে আকর্ষনীয় করার জন্য পুরুষদের সাজে বেশ ভূশায় সজ্জিত হয় অথচ ইহা সম্পূর্ন হারাম। কোন স্ত্রীর জন্য বাহিরে যাওয়ার সময় এমন সৌন্দর্যবর্ধন ও শোাভা প্রদর্শন কারী পোষাক পরা উচিৎ নয়, যাতে পর পুরুষের দৃষ্টি তার দিকে আকৃষ্ট হয়। এ ব্যপারে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন সুস্পষ্ট ভাবে ঘোষনা করেছেন যে,
ولا يبدين زينتهن إلا ما ظهر منها (نور-৩১)
অর্থ- তারা যেন তাদের সৌন্দর্যকে প্রকাশ না করে। তবে যা এমনিতেই বাহির হয়ে যায় সেটা ভিন্ন কথা। (সুরা নুর-আয়াত-৩১)
অন্য আয়াতে বলা হয়েছেঃ
وقرن في بيوتكن ولا تبرجن تبرجا الجاهلية الا ولى-
অর্থ- “ওহে মেয়েরা তোমরা তোমাদের বাড়ীতেই থাকবে, আর খবরদার! জাহেলী যুগের মেয়েদের মত সৌন্দর্য প্রদর্শন করে বেড়াবে না।”
তাবাররুজ বলা হয় ’’التبرج,, (অশালীন পোষাক) স্ত্রীরা যে কোন ভাবে হোক নিজেদের সৌন্দর্য্য প্রকাশ করে বেড়ায় এবং যেভাবে সতর আবৃত করা প্রয়োজন ছিল সেভাবে আবৃত না করে, এমন ভাবে পর্দা করে এবং এমন অংগভংগিমায় চলে যাতে পুরুষের দৃষ্টি সে দিকে আকৃষ্ট হয় ও কামভাব বৃদ্ধি পায়। (ফতহুল বয়ান ৭:২৭৪পৃ:)
এ তাবাররুজ এর ব্যাপারে বহু হাদীসে নিষেধাজ্ঞা এসছে। যেমন এক হাদীসে বলা হয়েছে, তিন ব্যক্তিকে আল্লাহ তায়ালা প্রশ্ন না করেই জাহান্নামে দিবেন, এর রয়েছে- “এমন মহিলা যার স্বামী তার থেকে অনুপস্থিত থাকলো, আর সে তার দুনিয়াবী চাহিদা মিটাতে স্বামর্থ ও বটে এমতবস্থায় সে “তাবাররুজ” (অশালীন পোষাকে চলে) করে বেড়ায়। (হাকেম:১:১১৯ আহমদ ৬:১৯পৃ: সহীহ হাদীস)
আল্লামাহ জাহাবী (রহ:) কিতাবুল কাবায়ের গ্রন্থের ১৩১ পৃষ্ঠায় উল্লেখ করেন যে, যে সমস্ত কারনে মহিলাদেরকে ধিক্কার দেওয়া হয়েছে ও লা’নাত করা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে পর্দা ও বোরকার মধ্যে স্বর্ন ও মতির অলংকার প্রকাশ করে বেড়ানো, মেশকে আম্বর ও আরত ব্যবহার করে বাহিরে বের হওয়া, রেশমী জাতীয় মূল্যবান কাপড় চোপড় পরিধান করে জনসমক্ষে সৌন্দর্য্যরে প্রকাশ ঘটানো, শাড়ী বা অন্য কাপড় পরা থাকলেও কাটো বোরকা পরার মাধ্যমে সৌন্দর্য প্রদর্শন অথবা ঝলমলে ঢিলা-ঢালা পোষাক পরিধান করা এসবই তাবাররুজ এর অন্তর্ভূক্ত। ইহকাল পরকাল আল্লাহর গজবের মধ্যে শামিল। অতএব তাবাররুজ বা সৌন্দর্য্য প্রদর্শন কারিনী মহিলাদের শাস্তির যে আলোচনা হলো অতএব তা থেকেই আমরা পরিস্কার বুঝতে পারছি যে, এ ধরনের কাজ থেকে কত দূরে অবস্থান করতে হবে। মহিলাদের জন্য ঘরের বাহিরে যাওয়ার সময় সুগন্ধি ব্যবহার করা বা সুগন্ধি জাতীয় জিনিস ও সুগন্ধি মিশ্রিত কাপড় পরিধান করা জায়েজ নেই। এ ব্যাপারে অসংখ্য হাদীস এসেছে। নিুে কতিপয় হাদীস আলোচনা করা হলো-
হযরত আবু মুসা আশয়ারী (রাঃ) বলেন, রাসূল (সাঃ) বলেছেন- যদি কোন মহিলা সুগন্ধি ব্যবহার করে কোন গোত্রের সামনে দিয়ে হেটে যায় এজন্য যে তারা তার থেকে সুগন্ধ গ্রহন করবে, তাহলে সে একজন যেনা কারিনী। (নাসাঈ২ঃ ১৮৩পৃ:, আবু দাউদ ২ঃ১৯২পৃ:)
হযরত যয়নব (রাঃ) থেকেও বর্ণিত হয়েছে যে, যখন মেয়েদের কেউ মসজিদে যাবে তখন সে কোন ধরনের সুগন্ধির ধারে কাছে না যায়। (মুসলিম ৪ঃ১৬৩পৃ:)
হযরত আবু হোরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত হয়েছে যে, রাসুল (সাঃ) বলেছেন “ যে মহিলা আতর ব্যবহার করবে সে যেন আমাদের মসজিদে ইশার জামায়াতে না আসে।”। (মুসলিম ৪ঃ ১৬৩পৃ:, আবু দাউদ ৪ঃ ৭৭পৃ:)
আল্লামা ইবনে দাকিকুল ঈদ (রাঃ) বলেন, এ হাদীস দ্বারা বুঝা যায়, মসজিদ অভিমুখে গমন কারীনি মহিলার জন্যও সুগন্ধি ব্যবহার হারাম। কেননা এতে পুরুষের যৌন সুড়সুড়ি দেয়া হয়। (ফয়জুল কাদীর ৩ঃ ১৩৮পৃ:) অতএব মসজিদে যাওয়ার ব্যপারে যখন এত কঠোরতা তখন মার্কেট-বাজার, রাস্তা-ঘাটে যাওয়ার ব্যাপারে কি হুকুম হবে? নিঃসন্দেহে উহা থেকে আরো কঠোর হুকুম ও শক্ত আজাব হবে। এজন্য আল্লামাহ হায়ছামী (রহঃ) বলেন, মহিলাদের জন্য সুগন্ধি ব্যবহার করে সুন্দর সাজে সজ্জিত হয়ে বাইরে বের হওয়া হারাম। যদিও তার স্বামী অনুমতি দিয়ে থাকে। (আল যাওয়াঝের ২ঃ৩৭পৃ:)
আল্লামা মোল্লা আলী ক্বারী বলেন “আলোচ্য হাদীস গুলো থেকে প্রতীয়মান হলো যে, মহিলাদের সুগন্ধি ব্যবহার করে ঘরের বাহিরে যাওয়া সম্পূর্ন রুপেই হারাম। শেষোক্ত হাদীসে ইশার সময়ের কথা নির্দিষ্ট করা হয়েছে এজন্য যে, কেননা ঐ সময় ফেতানর আশংকা বেশী । এ থেকে একথা বুঝা যায় যে, অন্য সকল সময়ই উহা না জায়েয হবে। অর্থাৎ সর্বাবস্থায়ই হারাম (মিরকাত ২ঃ৭১)
কুরআন, হাদীস এবং ইসলামী মনীষিদের উপরোক্ত বক্তব্য থেকে সুস্পষ্টভাবে বুঝা যাচ্ছে যে, পুরুষ মহিলা সকলেই শালীন পোষাক পরবে। অশ্লীল অংগভংগিমা, বেপর্দা হওয়া স্পষ্ট হারাম। এবং বেপর্দা হওয়ার কারনেই সকল ধরনের সামাজিক অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে। অপরদিকে “যে সমস্ত পূরুষরা ঐ বেপর্দা নারীদের দিকে তাকায় তাদেরকে কিয়ামতের দিন চোখে গরম শিশা দিয়ে বন্ধ করে দেয়া হবে।” (হাদীস) অতএব বিভিন্ন মিডিয়া ও চ্যানেলের দায়িত্বশীলরা সাধারন মেয়েদেরকে “নায়িকা” খোঁজার অজুহাতে উলংগপনা, বেহায়াপনায় নিমজ্জিত করছে তাদেরকে নিশ্চিত ধবংশের দিকে ঠেলে দিচ্ছেন এবং পুরুষদের সামনে পাপের রাস্তা উম্মোচন করছেন, সর্বপোরি দেশটাকে যেনার দিকে ঠেলে দিচ্ছেন। তারা এ সমস্ত ছেলে-মেয়েদের ইহকাল পরকালের পরিনতি সম্পর্কে চিন্তা করছেন। আপনাদের মা, বোন, মেয়েদের কি এভাবে নিশ্চিত ধ্বংশে নিক্ষেপ করতে পারবেন?