ইসলামের দৃষ্টিতে শিশু
শিশু-সন্তান মহান আল্লাহ তায়ালা কর্তৃক এক অমূল্য সম্পদ। পবিত্র কুরআন মাজীদে মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেছেন- “মাল, সন্তান-সন্ততি দুনিয়া জীবনের মহা সৌন্দর্য।” সূরা কাহাফ আয়াত : ৪৬।
মহানবী (সা.) ইরশাদ করেছেন- “যে ব্যক্তি তার ছেলে-মেয়েদের সঠিকভাবে পরিচর্যা করে, উত্তম আচরণ, আদব-কায়দা ও আমল-আখলাক শেখায় আল্লাহ তায়ালা তাকে নিশ্চিত জান্নাত দান করবেন। -বুখারী ও মুসলিম।
সম্মানিত অতিথিবৃন্দ কুরআন-হাদীস থেকে বুঝা গেল শিশু সন্তান আমাদের জন্য বড় নেয়ামত। তাদেরকে সঠিকভাবে শিক্ষা ও পরিচর্যা করা ফজর ইবাদাত। তাদের অধিকার সমূহ আদায় করলে আজকের শিশু আগামী দিনে মহা সম্পর্দে পরিণত হবে ইনশাআল্লাহ।
সম্মানিত উপস্থিতি, তাই আসুন! আমরা শিশুদের প্রতি মানবিক হই। তাদের প্রতি গভীর দরদ দেখাই। তাদের অধিকার সমূহ সঠিকভাবে আদায় করার মাধ্যমে তাদের শারিরিক, মানষিক বিকাশ ঘটার সুযোগ করে দেই। শিশুদেরকে শাসন করার নামে শিশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলি। শিশু শ্রমকে না বলি।
আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.) এর আদর্শ অনুকরণ করে শিশুদের ইচ্ছা, আকাঙ্খা পূরণ করি, তাদের সঠিক পথের রাস্তা দেখাই, আদার সোহাগ ও মায়ামমতার বন্ধনে তাদের মানবিক বিকাশ ঘটাই। শিশুদের চাওয়া-পাওয়া ও আশা-আকাঙ্খা পূরণ করি। তাহলে তারা পরিপূর্ণ চরিত্রবান, ঈমানদাররূপে বেড়ে উঠবে। যা পিতা-মাতা ও দেশ, জাতির জন্য মহা সম্পদে পরিণত হবে। হাদীসের ভাষায়- “এ ধরনের চরিত্রবান নেক সন্তান আপনার চক্ষু শীতল করবে, জান্নাতের অসিলা হবে।”
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদের সকলকে আজকে এ শিশু দিবস থেকে শিশুদের প্রতি মানবিক হওয়ার তাওফিক দিন। আমীন।