প্রশ্ন
ছোট থেকে আমি দেখে এসেছি কুরবানীর ঈদের দিন আমার চাচা সবার পশু জবাই করতেন। এখন তিনি বৃদ্ধ হয়েছেন। এখনো কুরবানীর দিন এলাকার লোকজন নিজ নিজ পশু জবাইয়ের জন্য আমার চাচাকে নিয়ে যায়। চাচা তাদের মন রক্ষার্থে গেলেও একা জবাই করতে পারেন না। তাই আমাকে সাথে নিয়ে যান। চাচা বিসমিল্লাহ বলে একটু ছুরি চালিয়ে দিলে বাকিটুকু আমি করে দিই। জানার বিষয় হল, চাচার বিসমিল্লাহ পড়াই যথেষ্ট হবে? নাকি আমাকেও বিসমিল্লাহ পড়তে হবে?
উত্তর
بسم الله الرحمن الرحيم
حامدا و مصليا و مسلما
প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে শুধু আপনার চাচার বিসমিল্লাহ বলাই যথেষ্ট নয়। বরং আপনাকেও বিসমিল্লাহ পড়তে হবে। অন্যথায় জবাই সহিহ হবে না। কেননা এক্ষেত্রে আপনিও জবাইকারী। আর জবাইকারী একাধিক হলে প্রত্যেকেরই বিসমিল্লাহ বলা জরুরি। অবশ্য প্রথম জবাইকারী যদি জবাই সম্পন্ন করে ফেলে, অর্থাৎ স্বাশনালী, খাদ্যনালী এবং দুই শাহরগের কোন একটি কেটে ফেলে, এরপর দ্বিতীয় ব্যক্তি ছুরি চালায় সেক্ষেত্রে তার জন্য বিসমিল্লাহ পড়া জরুরি নয়। এক্ষেত্রে প্রথম ব্যক্তির দ্বারাই জবাই সম্পন্ন হয়ে যায়। সুতরাং পরবর্তীতে কেউ যদি ছুরি চালায় তাহলে জবাইকারীর অন্তর্ভুক্ত হবে না। তাই সে বিসমিল্লাহ না বললেও কোনো ক্ষতি হবে না।
-ফাতাওয়া খানিয়া ৩/৩৫৫; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ১৭/৪৪৯; আদ্দুররুল মুখতার ৬/৩৩৪
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم