প্রশ্ন
আমার ছোটখাটো একটি ব্যবসা আছে। কোনো বছর আমার ব্যবসায় অনেক লাভ হয়। তখন আমার হাতে যাকাতযোগ্য সম্পদ থাকে। আবার কোনো বছর লাভ অনেক কম হয়। তখন প্রয়োজনের অতিরিক্ত সম্পদ থাকলেও তা যাকাতযোগ্য হয় না। কিন্তু আমি প্রতি বছর কুরবানী করি। আমাকে একজন বললেন, যে বছর আপনার উপর যাকাত ফরয হয় না সে বছর আপনার কুরবানী করা লাগবে না। এখন আমার প্রশ্ন হল, ঐ ব্যক্তির কথা কি ঠিক? আর বাস্তবে কতটুকু সম্পদ থাকলে কুরবানী ওয়াজিব হয়? বিস্তারিত জানালে কৃতজ্ঞ থাকব।
উত্তর
بسم الله الرحمن الرحيم
حامدا و مصليا و مسلما
ঐ ব্যক্তির কথা ঠিক নয়। কারণ যাকাত ও কুরবানী দুটো পৃথক পৃথক ইবাদত এবং উভয়ের ওয়াজিব হওয়ার কারণও ভিন্ন। একটি ফরয না হয়ে থাকলে অপরটিও হয় না এমন ধারণা ঠিক নয়। বরং যাকাত ফরয হয় কেবল টাকা-পয়সা, সোনা-রুপা ও ব্যবসায়িক পণ্যের উপর। আর কারো কাছে কুরবানীর দিনগুলোতে টাকা-পয়সা, সোনা-রুপা ও ব্যবসায়িক পণ্য ছাড়াও সাড়ে বায়ান্ন তোলা রুপার মূল্য পরিমাণ প্রয়োজনের অতিরিক্ত যে কোনো সম্পদ থাকলেই তার উপর কুরবানী করা ওয়াজিব। অর্থাৎ কুরবানীর নেসাবের ক্ষেত্রে টাকা-পয়সা, সোনা-রুপা ও ব্যবসায়িক পণ্যের সাথে সাথে প্রয়োজনের অতিরিক্ত জমি, প্রয়োজন অতিরিক্ত বাড়ি ও প্রয়োজনের অতিরিক্ত সকল আসবাবপত্র হিসাবযোগ্য। অথচ যাকাতের ক্ষেত্রে এগুলো হিসাবযোগ্য নয়।
-তাবয়ীনুল হাকায়েক ৬/৩; বাদায়েউস সানায়ে ৬/২৮০; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৫/২৯২
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم