প্রশ্ন
আমাদের মহল্লার একটি যুবক ছেলে গত কিছুদিন আগে নানা অপরাধকর্মে জড়িত হয়ে শেষে আত্মহত্যা করে। আত্মহত্যার খবর জেনে আশপাশের কোনো হুযুর তার জানাযা পড়াতে সম্মত হননি। তাই দূর থেকে একজন হুযুর এসে যুবকটির কয়েকজন নিকটাত্মীয়কে নিয়ে জানাযা পড়েন। জানার বিষয় হল, আত্মহত্যাকারীর জানাযার বিধান কী?
উত্তর
بسم الله الرحمن الرحيم
حامدا و مصليا و مسلما
আত্মহত্যা অনেক বড় গুনাহ। শরীয়তের দৃষ্টিতে আত্মহত্যাকারী ফাসেক; তবে সে কাফের নয়। কিন্তু ফাসেক হলেও তার জানাযা পড়তে হবে। হযরত ইমরান (রাহ.) বলেন,
سَأَلْتُ إبْرَاهِيمَ النَّخَعِيّ عَنْ إنْسَانٍ قَتَلَ نَفْسَهُ أَيُصَلَى عَلَيْهِ؟ قَالَ : نَعَمْ , إنَمَا الصَّلاَةُ سُنَّةٌ.
আমি ইবরাহীম নাখায়ী (রাহ.)-কে জিজ্ঞেস করলাম, আত্মহত্যাকারীর জানাযা পড়া যাবে কি? তিনি বললেন, হাঁ, নামায পড়াটাই নিয়ম। (মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, বর্ণনা: ১১৯৯০)
অবশ্য জানাযা আদায়ের জন্য উপযুক্ত লোক থাকলে সমাজের কোনো বড় আলেম এবং নেতৃস্থানীয় কোনো লোক জানাযায় অংশগ্রহণ করবে না। যেন অন্যরা তা দেখে শিক্ষা গ্রহণ করে এবং এ ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকে। জাবের ইবনে সামুরা (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, এক ব্যক্তি ধারালো বস্তু দিয়ে আত্মহত্যা করল। তার ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ (সা.) বললেন,
أَمَا أَنَا فَلَا أُصَلِّي عَلَيْهِ.
আমি এর জানাযা পড়ব না। (সুনানে কুবরা, নাসাঈ, হাদিস: ২১০২)
-তাবয়ীনুল হাকায়েক ১/৫১২; শরহুল মুনয়া পৃ. ৫৯১; রদ্দুল মুহতার ২/২১১; খুলাসাতুল ফাতাওয়া ১/২১৭; ফাতহুল মুলহিম ২/৫১২
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم