প্রশ্ন
আমি প্রতি রমযানে পুরো পরিবারের ফিতরা আদায় করে দেই। কিন্তু এ বছর আমি ঈদের সময় বাড়িতে ছিলাম না। পরে শুনলাম এ বছরের ফিতরা আদায় করা হয়নি। এখন হুজুরের কাছে জানতে চাচ্ছি, আমি যদি এখন ফিতরা আদায় করে দেই তাহলে তা আদায় হবে কি?
উত্তর
بسم الله الرحمن الرحيم
حامدا و مصليا و مسلما
সদাকাতুল ফিতর আদায় করা ওয়াজিব। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আদায় না করলে পরবর্তীতে আদায় করে দেওয়া আবশ্যক। তাই আপনাকে ঐ ফিতরার টাকা যত দ্রুত সম্ভব আদায় করে দিতে হবে।
উল্লেখ্য যে, ঈদুল ফিতরের দিন ঈদগাহে যাওয়ার পূর্বেই সদাকাতুল ফিতর আদায় করে দেওয়া মুস্তাহাব। সামনে থেকে এ ব্যাপারে যত্নবান হতে হবে। হাদিস শরিফে এসেছে, হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন-
فَرَضَ رَسُولُ اللهِ صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلّمَ زَكَاةَ الْفِطْرِ طُهْرَةً لِلصّائِمِ مِنَ اللّغْوِ وَالرّفَثِ، وَطُعْمَةً لِلْمَسَاكِينِ، مَنْ أَدّاهَا قَبْلَ الصّلَاةِ، فَهِيَ زَكَاةٌ مَقْبُولَةٌ، وَمَنْ أَدّاهَا بَعْدَ الصّلَاةِ، فَهِيَ صَدَقَةٌ مِنَ الصّدَقَاتِ.
রাসূলুল্লাহ (সা.) সদাকাতুল ফিতরের বিধান দিয়েছেন- রোযাদারকে অনর্থক ও অশ্লীল কথা থেকে পবিত্র করার জন্য এবং মিসকিনদের খাবারের ব্যবস্থা করার জন্য। সুতরাং যে ব্যক্তি ঈদের নামাযের পূর্বে তা আদায় করবে তার জন্য তা মাকবুল সদকা হবে। আর নামাযের পর আদায় করলে তা অন্যান্য সদকার মতো হবে। (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস: ১৬০৯)
সুতরাং ঈদের আগে আদায় করলে যথাযথ সওয়াব এবং রোযার পবিত্রতা নসীব হবে। কিন্তু কোনো কারণে ঈদের আগে দিতে না পারলে পরে হলেও দিতে হবে। কিন্তু এক্ষেত্রে যথা সময়ে আদায় না করার কারণে হাদিসে বর্ণিত সওয়াব ও ফযীলত লাভ হবে না।
-ফাতহুল কাদীর ২/২৩১; কিতাবুল আছল ২/২০৭, ২১১; রদ্দুল মুহতার ২/৩৬৮; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ৩/৪৫২
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم