প্রশ্ন
আমাদের মসজিদের একটি জমি দীর্ঘদিন থেকে মহল্লার এক ব্যক্তির দখলে ছিল এবং সে জমিটির মালিকানা দাবি করে আসছিল। ২০০৬ সালে সে জমিটি আরেকজনের কাছে বিক্রি করে দেয়। লোকটি তাতে বাড়ি নির্মাণ করে বসবাস শুরু করে। ২০০৭ সালে আমরা ক্রেতার বিরুদ্ধে মামলা করি। সে নানা অপকৌশলে মামলার রায় তার পক্ষে নিয়ে যায়। ২০০৯ সালে আরেক সূত্র ধরে আমরা পুনরায় মামলা করি। দীর্ঘদিন পরে গত বছর আদালত মসজিদের পক্ষে রায় দেয়। সে জমি বুঝিয়ে না দিয়ে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে। বিষয়টির এভাবে কোনো নিষ্পত্তি না দেখে এলাকার কিছু গণ্যমান্য ব্যক্তি একটি সমঝোতা করতে চাচ্ছেন যে, যেহেতু সে বাড়ি নির্মাণ করে ফেলেছে তাই জমিটির বর্তমান বাজারমূল্য মসজিদকে দিয়ে দিবে। জানার বিষয় হল, জমির বিপরীতে এভাবে মূল্য নেওয়া বৈধ হবে কি না? এক্ষেত্রে ঐ লোক কি মূল বিক্রেতা থেকে ক্ষতিপূরণ নিতে পারবে?
উত্তর
بسم الله الرحمن الرحيم
حامدا و مصليا و مسلما
প্রশ্নের বর্ণনা অনুযায়ী ঐ ব্যক্তির জন্য মসজিদের জায়গাটি কেনা এবং তাতে বাড়ি নির্মাণ করা বৈধ হয়নি। এখন তার কর্তব্য, মসজিদের জমিটি মসজিদের জন্য ফেরত দিয়ে নিজেকে দায়মুক্ত করা। এক্ষেত্রে তার নির্মিত ঘরটি সে সরিয়ে নিতে পারবে। আর মসজিদ কর্তৃপক্ষ চাইলে ঘরটি তার থেকে কিনেও রাখতে পারবে। কিন্তু বর্তমান ক্রেতা যদি জমি দিতে অস্বীকার করে এবং কোনোভাবে তা উদ্ধার করা সম্ভব না হয় তাহলে সেক্ষেত্রে মসজিদ কর্তৃপক্ষের জন্য জমির মূল্য বাবদ যা পায় তা নেওয়া বৈধ হবে। এভাবে টাকা আদায় হলে এর দ্বারা অন্যত্র মসজিদের জন্য স্থায়ী সম্পদ খরিদ করবে। আর ঐ ক্রেতা তার বিক্রেতার কাছ থেকে এ ক্ষতিপূরণ আদায় করতে পারবে।
-সহিহ বুখারি, হাদিস: ২৭৬৪; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ২/৪৪৮; আলবাহরুর রায়েক ৫/২৪২; ফাতাওয়া বাযযাযিয়াহ ৬/২৫৬
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم