প্রশ্ন
কোনো সন্তান যদি তার পিতার কবরের সামনে দাঁড়িয়ে সূরা ফাতিহা পাঠ করে তাহলে তার ৪০ দিনের জন্য কবরের আযাব মাফ হয়ে যায়? আমাদের গ্রামে এমনটি প্রচলিত আছে।
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
সন্তান পিতার কবরের সামনে দাঁড়িয়ে সূরা ফাতিহা পাঠ করলে ৪০ দিনের আযাব মাফ হয়- এ মর্মে কুরআন হাদিসে আমরা কোনো কিছু খুঁজে পাইনি। কাজেই এ জাতীয় ভিত্তিহীন কথা বলা যাবে না।
তবে কবরের সামনে দাঁড়িয়ে কুরআন তেলাওয়াত বৈধ আছে। তাছাড়া সন্তানের দোয়ার বদৌলতে পিতা মাতার মর্যাদাও বৃদ্ধি করা হয়। হাদিস শরিফে এসেছে,
আব্দুর রহমান ইবনে আলা থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, আমাকে আমার আব্বা বলেছেন, বৎস! আমি যখন ইন্তিকাল করব আমার জন্য একটি লাহাদ কবর খনন করবে এরপর যখন আমাকে কবরে রাখবে তখন এই দুআ পড়বে
بسم الله وعلى ملة رسول الله
(অর্থ) ‘আল্লাহর নামে এবং রাসূলে (সা.)-এর দ্বীনের উপর আপনাকে দাফন করছি।’ তারপর আমার কবরে মাটি দিয়ে দিবে এবং আমার শিয়রে সূরা বাকারার প্রথম এবং শেষের কয়েকটি আয়াত পড়বে। কেননা আমি রাসূল (সা.)-কে উক্ত আয়াতগুলো পড়তে শুনেছি।’ [তাবারানী কাবীর ১৯: ২২; মাজমাউয যাওয়ায়েদ ৩/১৬২; আসারুস সুনান, হাদিস: ১১০৮]
হাদিস শরিফে এসেছে, রাসূল (সা.) বলেন-
‘জান্নাতে মানুষের মর্যাদা অবশ্যই বৃদ্ধি করা হবে। সে বলবে, এটা (মর্যাদা বৃদ্ধি) কিভাবে হলো? বলা হবে, তোমার জন্য তোমার সন্তানের ক্ষমা প্রার্থনার বদৌলতে।’ [সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস: ৩৬৬০]
কাজেই সন্তানের উচিৎ পিতা মাতার জন্য বেশি বেশি দোয়া করা।
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم