জাতীয় ইমাম-খতীব সন্মেলন রাজধানীর বি এম এ মিলনায়তনে দেশের শীর্ষ উলামায়ে কেরাম ও বিশিষ্ট ইমাম- খতীববৃন্দ।অপরাধ মুক্ত সমাজ বিনির্মাণে ইমাম- উলামাগণকে [ভিডিওতে বক্তাদের মূল বক্তব্য] অতন্দ্র প্রহরীর ভূমিকা পালন করতে হবে।যে ইমামের ইমামতিতে সালাত কায়েম হয় সে ইমামের ইমামতিতে অপরাধমুক্ত সমাজ গড়তে হবে।
ইসলামী বিধান থেকে দূরে থাকার করণে সামাজিক অবক্ষয় মহামারী আকার ধারণ করেছে। কুরআন-সুন্নাহর আলোকে ব্যক্তি জীবন ও সামাজিক কর্মকান্ড পরিচালিত হলে সকল ধরনের সামাজিক ব্যাধি-অপরাধ, দুর্নীতি ও সন্ত্রাস নির্মূল হওয়া সম্ভব। তাই অপরাধ, দুর্নীতি ও সন্ত্রাস মুক্ত সমাজ গঠনে ইমাম-খতীব ও উলামায়ে কেরামগণকে অতন্দ্র প্রহরীর ভূমিকা পালন করতে হবে।
আজ সকাল ১০টায় বাংলাদেশ মসজিদ মিশনের উদ্যোগে বি.এম.এ মিলনায়তনে “অপরাধ মুক্ত সমাজ গঠনে রমযানের তাৎপর্য” শীর্ষক ইমাম-খতীব সম্মেলন ও ইফতার মাহফিলে বক্তারা একথা বলেন। বক্তারা বলেন: পবিত্র রমযান মাস আত্মশুদ্ধির ও কুরআন চর্চার মওসুম। পবিত্র কুরআনের কাছে সকল প্রশ্ন ও সমাস্যার সমাধান নির্ভূল ভাবে পাওয়া যায়। তাই আমাদেরকে সকল ভেদা-ভেদ ভুলে পবিত্র কুরআনের আলোকে জীবন গড়তে হবে।তাকওয়া ভিত্তিক সমাজ গঠন করার জন্য কুরআনী শিক্ষা ও ইসলামী শিক্ষা বাধ্যতামুলক করতে হবে। জাতীয় শিক্ষানীতি ও শিক্ষা আইনে ইসলাম বিরোধী নীতিসমূহ বাতিল না করলে গোটা সমাজ ব্যবস্থা রসাতলে যাবে।আলেম উলামা ও খতীবদেরকে সমাজ উন্নয়নে, আদর্শ সমাজ গঠনে বিশেষ ভূমিকা পালন করতে হবে। দলাদলি, ফেরকাবাজী বাদ দিয়ে আমাদের বোধ-বিশ্বাস হেফাজত করতে সচেষ্ট থাকতে হবে। মানুষের আমল ভালো হলে সাহাবীদের মতো অপরাধ মুক্ত সমাজ সাভাবিকভাবেই গড়ে উঠবে। সমাজ থেকে সকল ধরনের দুর্নীতি, সন্ত্রাস, অপরাধ নির্মূল করতে ইমাম-খতীব ও সর্বস্তরের উলামায়ে কেরামকে অতন্দ্র প্রহরীর ভূমিকা পালন করতে হবে। । মহানবী (সা.) বলেন-একমাত্র মুসলমান সেই যার হাত ও জবান থেকে অন্য সকল মানুষ নিরাপদে থাকে। বুখারী ও মুসলিম।ইসলামের সুমহান দিক্ষা ও দিকনির্দেশনা সমাজে সকল শ্রেনীর মুসল্লির মাঝে ব্যাপকভাবে তুলে ধরতে হবে। সন্ত্রাসী, জঙ্গী এদের সাথে ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহর কোন সম্পর্ক থাকতে পারে না। যারা ইসলামী জিহাদকে অপব্যাখ্যা করে সন্ত্রানস করতে চায় তারা মূলত ইসলামের দুশমনদের ক্রিড়ানক হিসাবে কাজ করতে তাদের এ ভয়াবহ কুকর্ম থেকে জাতিকে সতর্ক করতে হবে। অন্যাথায় তারা ইসলাম, দেশ ও জাতির মহাসর্বনাশ করে ছাড়বে। কুরআন-সুন্নাহর আলোকে ইসলামী ও নৈতিক শিক্ষা বাধ্যতামূলক করলে সন্ত্রাস ও দুর্নীতি বন্ধ হওয়া সম্ভব।
মসজিদ মিশন দেশের সকল ইমাম খতীব ও দেশের সকল উলামাদের সাথে নিয়ে দেশের সকল মসজিদকে আদর্শ মসজিদ রূপে গড়ে তুলতে চায়। ইসলামী শিক্ষা প্রচার-প্রসার ও শিক্ষা ব্যবস্থায় ইসলামী নীতি প্রয়োজনীয়তা সকলের মাঝে ফুটিয়ে তুলতে হবে।
বক্তব্য রাখেন:ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়াম্যান- মাও. আব্দুল লতিফ নেজামী, বাংলাদেশ ইসলামী ইউনিভার্সিটির চেয়ারম্যান বিশিষ্ট ইসলামী ব্যক্তিত্ব মাওলানা সাইয়্যেদ কামাল উদ্দীন জাফরী, ইসলামী বিশ^বিদ্যালয়ের সাবেক ডিন প্রফেসর ড. ইয়াহইয়ার রহমান, আইম্মাহ পরিষদের সভাপতি মাও. মহিউদ্দীন রব্বানী, মসজিদ মিশনের সেক্রেটারী জেনারেল ড. মাওলানা খলিলুর রহমান মাদানী, ইসলামী কানুন বাস্তবায়ন পরিষদের আমীর মাও. আবু তাহের জিহাদী, জাতীয় ইমাম পরিষদের সভাপতি মাও. লুৎফর রহমান, খেলাফতে রব্বানীর আমীর মুফতি ফয়জুল হক জালালাবাদী, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ড. আ.ন.ম রফিকুর রহমান মাদানী, ফুলতলী দরবার শরীফের শায়খুল হাদীস মাও. সাইফুল ইসলাম, কুরআন-সুন্নাহ পষিদের সভাপতি মাওলানা ফখরুদ্দীন, কুরআন-সুন্নাহ পরিষদের মহাসচিব শায়খ নাছিরুদ্দীন হেলালী, মাও. আহমদ আলী কাসেমী, মীরের সরাই পীর মাও. আব্দুল মোমিন নাসেরী, শর্ষীনার ছোট পীর মাও. শাহ আরিফ বিল্লাহ সিদ্দিকী, টেকের হাটের পীর মাও. কামরুল ইসলাম সাঈদ আনসারী, মসজিদ মিশন ঢাকা দক্ষিণের সভাপতি অধ্যক্ষ মাও. মোশাররফ হোসাইন, মাও. গোলাম কবির আজহারী, প্রফেসর আব্দুস সবুর মাতুব্বর, মাও. কাজী জালাল উদ্দীন, প্রিন্সিপাল রফিকুল ইসলাম, মুফতি মিজানুর রহমান, ঢাকা উত্তরের উলামা বিভাগের দায়িত্বশীল মাও. হাবিবুর রহমান, মাওলানা কামরুল ইসলাম, মুফতি মাসউদুর রহমান, মুহাদ্দিস আবুল হাসান, অধ্যক্ষ শহীদুল ইসলাম, মাওলানা তাজুল ইসলাম কাওসারী প্রমুখ।
Vieo link:
https://www.facebook.com/khalilur.rahman.560272/videos/10215796035514652