প্রশ্ন
শুনেছি, হালালকে হারাম মনে করা কুফুরি। গান-বাদ্যকে হালাল মনে করলে কি ঈমান থাকবে?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
অশ্লীল কিংবা মিউজিকযুক্ত গান শোনা ইসলামে জায়েয নেই। পবিত্র কুরআনে ইরশাদ হচ্ছে-
وَمِنَ النَّاسِ مَن يَشْتَرِي لَهْوَ الْحَدِيثِ لِيُضِلَّ عَن سَبِيلِ اللَّهِ بِغَيْرِ عِلْمٍ وَيَتَّخِذَهَا هُزُوًا أُولَئِكَ لَهُمْ عَذَابٌ مُّهِينٌ
একশ্রেণির মানুষ আছে যারা মূর্খতাবশত মানুষকে আল্লাহর পথ থেকে বিচ্যুত করার উদ্দেশ্যে লাহওয়াল হাদিস (অবান্তর কথাবার্তা, গান-বাজনা) সংগ্রহ করে এবং দীনকে নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রূপ করে। এদের জন্য রয়েছে অবমাননাকর শাস্তি। [সূরা লুকমান, আয়াত: ৬]
হাসান বসরী (রহ.) বলেন: এই আয়াত নাযিল হয়েছে গান এবং মিউজিক সম্পর্কে৷ [ইবনে কাসীর ৩/৪৫১]
হাদিস শরিফে এসেছে, রাসূল (সা.) বলেন-
لَيَكُونَنَّ مِنْ أُمَّتِي أَقْوَامٌ يَسْتَحِلُّونَ الْحِرَ وَالْحَرِيرَ وَالْخَمْرَ وَالْمَعَازِفَ
আমার উম্মতের মাঝে অবশ্যই এমন কতগুলো দলের সৃষ্টি হবে যারা ব্যাভিচার, রেশমী কাপড় মদ ও বাদ্যযন্ত্রকে (মিউজিককে) হালাল জ্ঞান করবে। [সহিহ বুখারি হাদিস: ৫৫৯০]
আল্লাহ তাআলা বলেন-
وَاسْتَفْزِزْ مَنِ اسْتَطَعْتَ مِنْهُم بِصَوْتِكَ
তোর আওয়াজ দ্বারা তাদের মধ্য থেকে যাকে পারিস পদস্খলিত কর। [সূরা ইসরা, আয়াত: ৬৪]
এ আয়াতের ব্যাখ্যায় আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, যে সকল বস্তু পাপাচারের দিকে আহ্বান করে তাই ইবলিসের আওয়াজ।
বিখ্যাত তাবেয়ি মুজাহিদ (রহ.) বলেন, ইবলিসের আওয়াজ বলতে এখানে গান ও বাদ্যযন্ত্রকে বোঝানো হয়েছে।
আল্লামা ইবনুল কাইয়্যিম (রহ.) বলেন, এটা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, যেসব বস্তু পাপাচারের দিকে আহ্বান করে তার মধ্যে গান-বাদ্যই সেরা। এজন্যই একে ইবলিসের আওয়াজ বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে। [ইগাছাতুল লাহফান: ১/১৯৯]
যেহেতু গান-বাদ্য শোনা হারাম তাই হারামকে হালাল বানাতে চাইলে কুফুরি হয়ে যাবে।
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم