প্রশ্ন
আমি শাড়ি পরিধান করে অভ্যস্থ। জানতে চাচ্ছি, আমি কি শাড়ি পরে নামাজ পড়তে পারব?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
শাড়ি পরলে নারীদের সতরের বিভিন্ন অংশ খোলা থাকে। তাই প্রচলিত পন্থায় নারীরা শাড়ি পরতে পারবে না। তবে কোনো নারী যদি এমনভাবে শাড়ি-ব্লাউজ পরে যার ফলে খোলা অংশগুলো ঢেকে যায় এবং কাপড়ের উপর দিয়ে শরীরের আকৃতি ফুটে না উঠে, তাহলে শাড়ি পরতে পারবে। কুরআন মাজিদে ইরশাদ হয়েছে,
وَلَا يُبْدِينَ زِينَتَهُنَّ إِلَّا مَا ظَهَرَ مِنْهَا
‘তারা যেন যা সাধারণত প্রকাশমান- তা ব্যতীত তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে।’ [সূরা নুর, আয়াত: ৩১]
হাদিস শরিফে এসেছে,
عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ الْمَرْأَةُ عَوْرَةٌ فَإِذَا خَرَجَتِ اسْتَشْرَفَهَا الشَّيْطَانُ
‘আবদুল্লাহ (রা.) হতে বর্ণিত আছে, রাসূল (সা.) বলেছেন: মহিলারা হচ্ছে আওরাত (আবরণীয় বস্তু)। সে বাইরে বের হলে শয়তান তার দিকে চোখ তুলে তাকায়।’ [সুনানে তিরমিযি, হাদিস: ১১৭৩]
প্রচলিত পন্থায় শাড়ি পরলে যেহেতু নারীদের সতরভুক্ত কিছু কিছু অঙ্গ খোলা থাকে, আর নামাজে সতর ঢেকে রাখা আবশ্যক, তাই শাড়ি পরিধান করে নামাজ পড়লে নামাজ হবে না।
তবে যদি এমনভাবে শাড়ি পরিধান করা হয়, যার ফলে সতরভুক্ত কোনো অঙ্গ প্রকাশিত হয়ে পড়ে না, তাহলে এমন শাড়ি পরিধান করে নামাজ পড়া যাবে।
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم