প্রশ্ন
এক ব্যক্তিকে বলতে শুনেছি যে, রাসূলুল্লাহ (সা.) নাকি যেখানে প্রস্রাব পায়খানা করতেন সেখানে নাকি তা থাকতো না। সেটা মাটির নিচে গর্ত হয়ে চলে যেত। তিনি নাকি বলেছেন এগুলো কিয়ামতের পূর্বে তেল গ্যাস হয়ে উঠবে। এই সব কথার কি কোনো ভিত্তি আছে?
উত্তর
بسم الله الرحمن الرحيم
حامدا و مصليا و مسلما
রাসুল (সা.) ফাযলা বা পেশাব পায়খানা জমিন গিলে নেয়া সম্পর্কে মুহাদ্দিসীন-আহলে সিয়ারদের মধ্যে মতানৈক্য আছে। কতেক সীরাতবীদ এটিকে নবীজীর খুসুসিয়্যাত (বৈশিষ্ট্য) হিসেবে উল্লেখ করেছেন। আবার কতেক মুহাদ্দিসীন এটিকে প্রমাণিত নয় মত দিয়েছেন। নবীজীর পেশাব পায়খানা জমিন গিলে নেয়া সম্পর্কে হাদিসে সহিহ কোন বর্ণনা পাওয়া যায় না। তাবারানী (রহ.) তার মুজামে আওসাতে আয়েশা (রা.) সূত্রে একটি হাদিস এনেছেন। এবং একই হাদিস দারাকুতনীসহ কতেক মুহাদ্দিসীনও এনেছেন।
المعجم الأوسط (8/ 21)
حدثنا محمود، نا العباس بن عبد العظيم العنبري، ثنا إسماعيل بن أبان الوراق، ثنا عنبسة بن عبد الرحمن، عن محمد بن زاذان، عن أم سعد، عن عائشة، قالت: قلت: يا رسول الله، تدخل الخلاء فلا يرى منك شيء من الأذى؟ قال: «أوما علمت يا عائشة أن الأرض تبتلع ما يخرج من الأنبياء، فلا يرى منه شئ؟»
لا يروى هذا الحديث عن عائشة إلا بهذا الإسناد، تفرد به: إسماعيل بن أبان “
যার ভাষ্য, আয়েশা (রা.) এর জিজ্ঞাসার জবাবে রাসুল (সা.) বলেন-
জমীন নবীদের ফাযলা শুষে নেয়। (মুজামে আওসাত- ৭৮৩৫)
কিন্ত বর্ণনাটি মজবুত নয়। যার দরুন গিলে নেয়ার বিষয়টি সংশয়পূর্ণ। যদিও হাফেয সুয়ুতী সহ অনেকে এর অন্য একাধিক সূত্র থাকার কথা উল্লেখ করেছেন। আল্লাহই সর্বাধিক জ্ঞাত। অতএব, এসব আলোচনা করা থেকে বিরত থাকাই শ্রেয়। আর ‘এগুলো কিয়ামতের পূর্বে তেল গ্যাস হয়ে উঠবে’ এটা কুরআনে হাদিসে কোত্থাও আসেনি। এটি সম্পূর্ণ অপ্রমাণিত ও ভিত্তিহীন।
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم