প্রশ্ন
আশুরার দিন নিয়ে এত আলোচনা কেন? এই দিনে কী হয়েছে? এই দিনের এত গুরুত্ব কেন?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
নিম্নোক্ত হাদিসটি পড়লেই আপনি এ সম্পর্কে কিছুটা ধারণা পেয়ে যাবেন। হাদিস শরিফে এসেছে-
عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا قَالَ لَمَّا قَدِمَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمَدِينَةَ وَجَدَ الْيَهُودَ يَصُومُونَ عَاشُورَاءَ فَسُئِلُوا عَنْ ذَلِكَ فَقَالُوا هَذَا الْيَوْمُ الَّذِي أَظْفَرَ اللَّهُ فِيهِ مُوسَى وَبَنِي إِسْرَائِيلَ عَلَى فِرْعَوْنَ وَنَحْنُ نَصُومُهُ تَعْظِيمًا لَهُ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَحْنُ أَوْلَى بِمُوسَى مِنْكُمْ ثُمَّ أَمَرَ بِصَوْمِهِ
আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) মদীনায় হিজরত করার পর দেখলেন, ইহুদীরা আশুরার দিন রোজা রাখে। রাসূলুল্লাহ (সা.) তাদেরকে রোজার কারণ জিজ্ঞাসা করলেন। তখন তারা বলেছিল, এটি মহিমান্বিত একটি দিন। এই দিনে মুসা (আ.) ও তার কওম নিস্তার পান। আর ফেরআউন ও তার দল ডুবে মারা যায়। সেই থেকে মুসা (আ.) শুকরিয়াস্বরূপ এই দিনে রোজা রাখতেন। সে হিসেবে আমরাও রোজা রাখি। তখন রাসূলুল্লাহ (সা.) বললেন, মুসা (আ.)-এর ব্যাপারে তোমাদের চেয়ে আমরা অধিক হকদার। অতপর রাসূলুল্লাহ (সা.) নিজেও রোজা রাখলেন এবং অন্যদেরকে রোজা রাখার নির্দেশ করলেন।’ [সহিহ বুখারি, হাদিস: ৩৩৯০]
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم