প্রশ্ন
ঋতুস্রাব চলাকালীন মহিলারা শেখানোর উদ্দেশ্যে কুরআন শরীফের এক আয়াত পরিমাণ তিলাওয়াত করতে পারবে কি? আমি একজন থেকে শুনেছি, শেখানোর উদ্দেশ্যে এক আয়াত এক আয়াত করে তিলাওয়াত করা জায়েয হবে। কিন্তু একজন আলেম বললেন, শেখানোর উদ্দেশ্যেও এক আয়াত পরিমাণ তিলাওয়াত করা জায়েয হবে না। হযরতের কাছে জানতে চাচ্ছি, উক্ত আলেমের কথা কি ঠিক আছে? দলীলসহ বিস্তারিত জানালে উপকৃত হব।
উত্তর
بسم الله الرحمن الرحيم
حامدا و مصليا و مسلما
হ্যা, উক্তে আলেমের কথা ঠিক আছে। ঋতুস্রাব অবস্থায় মহিলাদের জন্য অন্যকে শেখানোর উদ্দেশ্যেও কুরআন মাজীদ পড়া জায়েয হবে না। এমনকি এক আয়াত এক আয়াত করেও পড়া যাবে না।
এক বর্ণনায় এসেছে, হযরত হাসান বসরী (রা.) ও হযরত কাতাদা (রা.) বলেন, ঋতুমতি নারী ও যার উপর গোসল ফরয হয়েছে সে কুরআনের কোনো অংশই পড়বে না। (মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক, বর্ণনা: ১৩০২)
এছাড়াও হযরত ওমর (রা.), হযরত জাবের (রা.) ও হযরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.), ইবরাহীম নাখায়ী (রাহ.) প্রমুখ সাহাবা ও তাবেয়ীন থেকেও এ ব্যাপারে বহু হাদিস ও আসার বর্ণিত হয়েছে। এসব দলীলের আলোকে ফকীহগণ বলেন, ঋতুমতি নারীদের জন্য এক আয়াত পরিমাণও পড়া জায়েয নয়। এমনকি শেখানোর উদ্দেশ্যেও জায়েয নয়। সুতরাং কুরআন মাজীদ শেখা-শেখানোর সাথে সম্পৃক্ত মহিলাগণও ওজরের দিনগুলোতে কুরআন তিলাওয়াত থেকে বিরত থাকবেন। অবশ্য একান্ত প্রয়োজন হলে পূর্ণ আয়াত তিলাওয়াত না করে এক-দুই শব্দ করে বলে দিতে পারবেন।
-ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/৩৯; বাদায়েউস সানায়ে ১/১৫০; খুলাসাতুল ফাতাওয়া ১/২৩০; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ১/৪৮০
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم