প্রশ্ন
আমি এক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসা করেছি যে , হুযুর আমি ব্যাংকে ৫ লক্ষ টাকা রেখেছি। এখন তা বেড়ে ৫ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা হয়েছে। আমি এখন এইসব টাকা কীভাবে উঠাতে পারি? উদ্দেশ্য ছিল বৈধ কোনো পথ বলে দেওয়া। উত্তরে সে আলেম তাকে বললেন, আপনি ব্যাংক থেকে ৪ লক্ষ টাকা উঠাবেন। আর বাকি ১ লক্ষ টাকার পরিবর্তে ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকার যে ডলার হয় তা উঠাবেন তাহলে জায়েয হয়ে যাবে। অতপর তিনি তার কথার পক্ষে দলিল হিসেবে বললেন, টাকা এবং ডলারের মাঝে কমবেশ করা জায়েয। যেমন সোনা-রূপার মাঝে কমবেশ করা জায়েয। এখন আমার প্রশ্ন হল, তার কথা ঠিক কি না? এবং এভাবে টাকার পরিবর্তে ডলার উঠালে বৈধ হবে কি না?
উত্তর
بسم الله الرحمن الرحيم
حامدا و مصليا و مسلما
প্রশ্নের বিবরণ থেকে বোঝা যাচ্ছে যে, উক্ত পদ্ধতিটি অবলম্বন করা হয়েছে জমা টাকার উপর অতিরিক্ত যে ৮০ হাজার টাকা সুদ এসেছে তা বৈধ হিসাবে গ্রহণ করার জন্য। এক্ষেত্রে ডলারদাতা এবং গ্রহীতা উভয়ে ভালো করেই জানে যে, প্রদত্ত ডলার ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকার পরিবর্তে। শুধু ১ লক্ষ টাকার বিনিময়ে নয়। সুতরাং যদি এমন কোনো ঘটনা ঘটেও থাকে, তবে ১ লক্ষ টাকার সমপরিমাণ ডলার আপনার আত্মীয়ের জন্য হালাল আর ৮০ হাজার টাকার সমপরিমাণ ডলার হারাম। জমা টাকার অতিরিক্ত গ্রহণ করাই সুদ। চাই অতিরিক্ত অংশের টাকা সরাসরি গ্রহণ করা হোক বা ডলারের মাধ্যমে গ্রহণ করা হোক।
প্রকাশ থাকে যে, ‘সুদ’ হল নিকৃষ্টতম হারাম। আর এর চেয়ে আরো মারাত্মক ও জঘন্যতম অপরাধ হল, হীলাবাহানা ও ছুতার মাধ্যমে এ নিকৃষ্টতম হারামকে বৈধ মনে করে গ্রহণ করা। অতএব সুদকে হারাম জেনে সর্বাবস্থায় তা থেকে বিরত থাকা আবশ্যক।
উল্লেখ্য যে, প্রশ্নের বর্ণনায় মনে হচ্ছে ঐ মাসআলাদাতা ব্যক্তির সাধারণ জ্ঞানও নাই। কারণ সাধারণত ব্যাংকগুলোতে এভাবে নিজ একাউন্টের টাকার বদলে ডলার গ্রহণ করার নিয়ম নেই।
-আদ্দুররুল মুখতার ৫/১৬৭; ইলাউস সুনান ১৪/৫১২
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم