প্রশ্ন
কিছু দিন আগে আমার নানা মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়েছিল। তখন তার মাথায় অপারেশন করতে হয়। এবং মাথা ব্যান্ডেজ অবস্থায় ছিল কিছুদিন। প্রথম কয়েক দিন বিছানায় পুরোপুরি শায়িত ছিল। মাথা নাড়ানোও সম্ভব ছিল না। তাই ডাক্তার কয়েক দিন মাথা একেবারে না নাড়ানোর কথা বলেছিলেন। ফলে ঐ দিনগুলোর নামায সে পড়তে পারে নি। এখন সে কিছুটা সুস্থ হয়ে উঠেছে। প্রশ্ন হল, সে যে কয়দিন পুরো শায়িত ছিল ঐ দিনগুলোর নামাযের কী হুকুম? একজন বলেছে, সে তখন মাথা নাড়াতে না পারলেও যেহেতু তার জ্ঞান ছিল তাই তার জন্য ঐ কয়দিন চোখের ইশারায় নামায পড়া জরুরি ছিল। তাই তার ঐ কয়েকদিন নামায না পড়া ঠিক হয়নি। তার এ কথা কি ঠিক? এখন কি সে ঐ কয়দিনের নামায কাযা করবে? বিস্তারিত জানতে চাই।
উত্তর
بسم الله الرحمن الرحيم
حامدا و مصليا و مسلما
প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে ঐ ব্যক্তির যেহেতু মাথা দ্বারা ইশারা করার ক্ষমতাও ছিল না তাই ঐ অবস্থার নামাযগুলো মাফ হয়ে গেছে। তা কাযা করা লাগবে না। এ অবস্থায় চোখের ইশারায় নামায আদায় করতে হবে এমন কথা ঠিক নয়। কেননা চোখের ইশারায় নামায আদায় হয় না। নামায আদায়ের জন্য অন্তত মাথা দ্বারা ইশারা করা আবশ্যক। এতটুকু শক্তিও যদি না থাকে, আর এ অবস্থায় একদিন একরাতের বেশি হয়ে যায় তাহলে ঐ সময়ের নামায মাফ হয়ে যায়। আর একদিন-একরাত বা তার কম সময় অতিবাহিত হলে ঐ কয়েক ওয়াক্ত নামায পরবর্তীতে কাযা করে নেয়া জরুরি।
-বাদায়েউস সানায়ে ১/২৮৭; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/১৩৭; আততাজনীস ওয়াল মাযীদ ২/১৭৬; রদ্দুল মুহতার ২/৯৯
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم