প্রশ্ন
বর্তমানে ঔষধ সেবনের মাধ্যমে সাময়িকভাবে মাসিক স্রাব বন্ধ করে রাখা যায়। তাই অনেকে রমযান মাসের সবগুলো রোযা রাখার জন্য ঔষধ সেবনের মাধ্যমে স্রাব বন্ধ করে রাখে। বিশেষত হ্জ্ব চলাকালীন হায়েয আসলে নানা অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়। তাই অধিকাংশ মহিলা হজ্বের সময়গুলোতে ঔষধ সেবনের মাধ্যমে স্রাব বন্ধ করে রাখে, যেন হজ্বের আমলগুলো কোনো প্রকার প্রতিবন্ধকতা ছাড়াই সম্পাদন করা যায়। এজন্য হুযুরের কাছে জানতে চাচ্ছি, ঔষধ সেবনের মাধ্যমে এভাবে ঋতুস্রাব বন্ধ করে রাখা কি জায়েয আছে? এ অবস্থায় কি সে নামায, রোযা ও তাওয়াফ ইত্যাদি আদায় করতে পারবে? যদি পারে তাহলে পরবর্তীতে এগুলো কাযা করা লাগবে কি না? দয়া করে বিস্তারিত জানিয়ে বাধিত করবেন।
উত্তর
بسم الله الرحمن الرحيم
حامدا و مصليا و مسلما
ওষুধ সেবনের কারণে হলেও একজন মহিলা যতক্ষণ পর্যন্ত স্বাভাবিক অবস্থায় থাকবে অর্থাৎ তার মাসিক স্রাব চালু না হবে ততক্ষণ তাকে নামায-রোযা করে যেতে হবে এবং এ অবস্থায় সে তাওয়াফও করতে পারবে। আর সে যেহেতু পবিত্র অবস্থাতেই নামায-রোযা ইত্যাদি পালন করেছে তাই পরবর্তীতে তাকে এ সময়ের নামায-রোযার কাযা করতে হবে না। আর এজাতীয় ঔষধ ব্যবহার করতে নিষেধাজ্ঞা নেই। কিন্তু এটি কোনো উত্তম পন্থাও নয়। বিশেষ ওজর না থাকলে স্বাভাবিক নিয়মে চলাই উচিত। আর এ ধরনের ঔষধ ব্যবহারের পূর্বে অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করা বাঞ্ছনীয়। এজাতীয় ঔষধ সেবনের কারণে কারও শারীরিক কোনো সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই পরবর্তী জটিলতা এড়ানোর জন্য সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।
-মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক, হাদিস: ১২১৯, ১২২০; জামিউ আহকামিন নিসা ১/১৯৮; আলমুহীতুল বুরহানী ১/৩৯৯; ফিকহুন নাওয়াযিল ২/৩০৮
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم