প্রশ্ন
একবার মসজিদে এসে ইমাম সাহেবকে রুকু অবস্থায় পাই। কাতার পর্যন্ত পৌঁছার আগে ইমাম সাহেব রুকু থেকে উঠে যাওয়ার আশংকা ছিল তাই রাকাতটি পাওয়ার জন্য কাতার থেকে দূরে থাকতেই ইমামের একতেদা করি। অতপর এক রোকন পরিমাণ থেমে থেমে দু-এক কদম করে কাতারে গিয়ে মিলিত হই। জানার বিষয় হল, নামাযের মধ্যে এভাবে হাঁটার দ্বারা কি নামায নষ্ট হয়ে গেছে?
উত্তর
بسم الله الرحمن الرحيم
حامدا و مصليا و مسلما
প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আপনি যেহেতু এক-দু কদম চলার পর এক রুকন পরিমাণ থেমে সামনে অগ্রসর হয়েছেন তাই আপনার নামায ভাঙ্গেনি। তা আদায় হয়ে গেছে। তবে দূর থেকে নামায শুরু হতে দেখলেও এমনটি করা ঠিক নয়। এ ধরনের ক্ষেত্রে নিয়ম হল, একেবারে কাতারের সাথে মিলে দাঁড়ানো। তাড়াহুড়া করে পিছনে দাঁড়িয়ে না যাওয়া। হাদিস শরিফে এসেছে, রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন-
إِذَا أُقِيمَتِ الصّلاَةُ، فَلاَ تَأْتُوهَا تَسْعَوْنَ، وَأْتُوهَا تَمْشُونَ، عَلَيْكُمُ السّكِينَةُ، فَمَا أَدْرَكْتُمْ فَصَلّوا، وَمَا فَاتَكُمْ فَأَتِمّوا.
জামাত শুরু হয়ে গেলে তোমরা তাড়াহুড়া করে এসো না। বরং স্বাভাবিকভাবে হেঁটে আস, এবং শান্ত থাকো। অতপর যত রাকাত পাবে তা পড়ে নিবে। আর যা ছুটে যাবে তা পূর্ণ করে নিবে। (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৯০৮)
আরেক হাদিসে আছে, আবু বাকরা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি রাসূল (সা.)-এর কাছে এমন সময় পৌঁছলেন যখন রাসূল (সা.) রুকুতে ছিলেন। তখন তিনি কাতারে পৌঁছার আগেই (তাকবীরে তাহরীমা বেঁধে) রুকুতে চলে গেলেন। এ ঘটনা রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে ব্যক্ত করলে তিনি বললেন-
زَادَكَ اللهُ حِرْصًا وَلاَ تَعُدْ.
আল্লাহ তাআলা তোমার আগ্রহকে আরো বাড়িয়ে দিন। তবে সামনে থেকে আর এমন করবে না। (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৭৮৩)
-আলমুহীতুল বুরহানী ২/১৫৯; বাদায়েউস সানায়ে ১/৫১২; খুলাসাতুল ফাতাওয়া ১/১৩১; আলবাহরুর রায়েক ২/১৩; শরহুল মুনয়া পৃ. ৪৫০; আদ্দুররুল মুখতার ১/৬২৭
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم