প্রশ্ন
১. তারাবীর নামাযে চার রাকাত পর পর মুসল্লীরা নিম্নোক্ত দুআ-
سُبْحَانَ ذِي الْمُلْكِ وَالْمَلَكُوتِ، سُبْحَانَ ذِي الْعِزّةِ وَالْعَظمَةِ …
পড়ে থাকেন। এ সময় আসলে কী করণীয়? এ দুআ পড়বে নাকি ভিন্ন কোনো দুআ পড়বে? এ দুআ পড়ার অবকাশ আছে কি?
২. মাঝে মাঝে এমন হয় যে, দেরি করে আসার কারণে ইশার নামায শেষ করে তারাবীতে শরীক হতে হতে ৪/৬ রাকাত হয়ে যায়। ২০ রাকাত পড়ানোর পর ইমাম সাহেব বিতিরের জন্য দাঁড়িয়ে যান। তখন আমার কী করণীয়? তারাবীর বাকি রাকাতগুলো পড়তে গেলে বিতির ছুটে যাওয়ার আশংকা হয়। জানিয়ে বাধিত করবেন।
উত্তর
بسم الله الرحمن الرحيم
حامدا و مصليا و مسلما
তারাবীর নামাযে চার রাকাত পর পর এবং বিশ রাকাত শেষ হওয়ার পর কিছু সময় বিরতি দেওয়া মুস্তাহাব। এ সময় কোনো নির্দিষ্ট দুআ পড়ার কথা হাদিস-আসারে নেই। মুসল্লীগণ এ সময় তাসবীহ-তাহলীল, বিভিন্ন দুআ-দরূদ পাঠ করতে পারেন কিংবা কোনো প্রয়োজনীয় কাজ করতে বা কথা বলতে পারবেন। আবার নীরবও থাকতে পারে। আর প্রশ্নে উল্লেখিত দুআটি এ সময়ে পড়ার কথা যেহেতু কোনো হাদিসে পাওয়া যায় না তাই এ সময় এ দুআ সুন্নত বা মুস্তাহাব মনে করে পড়া যাবে না।
-ফাতাওয়া খানিয়া ১/২৩৪; বাদায়েউস সানায়ে ১/৬৪৮; আদ্দুররুল মুখতার ২/৪২;ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ২/৩১৮; হালবাতুল মুজাল্লী ২/৩৬৭
২. প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আপনি জামাতের সাথে বিতির আদায় করে নেবেন। বিতিরের পর তারাবীর বাকি রাকাতগুলো পড়ে নেবেন। কেননা তারাবীহ বিতিরের পরও পড়া যায়।
-ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/১১৭; আলবাহরুর রায়েক ও মিনহাতুল খালিক ২/৬৭; খুলাসাতুল ফাতাওয়া ১/৬৩; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ২/৩২২; হালবাতুল মুজাল্লী ২/৩৬৬
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم