প্রশ্ন
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, হযরত আমার জানার বিষয় হলো।আবে হায়াত কী? বিভিন্ন মানুষের কাছে এ সম্পর্কে অনেক কাহিনী শুনে থাকি। যেমন: আবে হায়াতের পানি পান করলে কেয়ামতের আগে মৃত্যুরণ করবে না। হযরত খিজির (আ.) নাকি এই পানি পান করেছেন তাই তিনি কেয়ামত পর্যন্ত বেঁচে থাকবেন। এগুলো কি সত্য? কুরআন ও হাদীসের আলোকে জানতে চাচ্ছি।
উত্তর
بسم الله الرحمن الرحيم
حامدا و مصليا و مسلما
“মাউল হায়াত” অথবা “আবে হায়াত” বলে দুনিয়াতে যেই কথাগুলো প্রচলিত আছে, প্রকৃতপক্ষে এর কোন অস্তিত্ব দুনিয়াতে নেই। এমন আবে হায়াত সম্পর্কে মানুষের ধারণা ও আকীদা ইসলামের সাথে সম্পুর্ন সাংঘর্ষিক। কুরআনুল কারীম দ্ব্যর্থহীন ভাষায় ঘোষণা দিচ্ছে-
وَمَا جَعَلۡنَا لِبَشَرٍ مِّنۡ قَبۡلِکَ الۡخُلۡدَ ؕ اَفَا۠ئِنۡ مِّتَّ فَہُمُ الۡخٰلِدُوۡنَ
( হে নবী! ) আমিআপনার আগেও কোন মানুষের জন্য চিরদিন বেঁচে থাকার ফায়সালা করিনি। সুতরাং আপনার মৃত্যু হলে তারা কি চিরজীবী হয়ে থাকবে?
(আল আম্বিয়া – ৩৪)
کُلُّ نَفۡسٍ ذَآئِقَۃُ الۡمَوۡتِ ؕ وَنَبۡلُوۡکُمۡ بِالشَّرِّ وَالۡخَیۡرِ فِتۡنَۃً ؕ وَاِلَیۡنَا تُرۡجَعُوۡنَ
জীব মাত্রই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে। আমি পরীক্ষা করার জন্য তোমাদেরকে মন্দ ও ভালোতে লিপ্ত করি, এবং তোমাদের সকলকে আমারই কাছে ফিরিয়ে আনা হবে।
(আল আম্বিয়া – ৩৫)
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم