প্রশ্ন
কেউ যদি দোয়া করতে করতে নিরাশ হয়ে বলে, আল্লাহর উপর এখন আর ভরসা নেই, তাহলে কি তার ঈমান চলে যাবে?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হওয়া কুফরী। কুরআন মাজিদে ইরশাদ হয়েছে,
قُلْ يَاعِبَادِيَ الَّذِينَ أَسْرَفُوا عَلَى أَنْفُسِهِمْ لَا تَقْنَطُوا مِنْ رَحْمَةِ اللَّهِ إِنَّ اللَّهَ يَغْفِرُ الذُّنُوبَ جَمِيعًا إِنَّهُ هُوَ الْغَفُورُ الرَّحِيمُ
‘বল, হে আমার বান্দাগণ, যারা নিজদের উপর বাড়াবাড়ি করেছ তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। অবশ্যই আল্লাহ সকল পাপ ক্ষমা করে দেবেন। নিশ্চয় তিনি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।’ [সূরা যুমার, আয়াত: ৫৩]
হাদিস শরিফে এসেছে,
عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ، أَنَّهُ قَالَ: أَكْبَرُ الْكَبَائِرِ: الْإِشْرَاكُ بِاللهِ، وَالْأَمْنُ مِنْ مَكْرِ اللهِ، وَالْقَنُوطُ مِنْ رَحْمَةِ اللهِ، وَالْيَأْسُ مِنْ رَوْحِ اللهِ
‘ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, সবচেয়ে বড় কবীরা গুনাহ হল, আল্লাহর সাথে শরিক করা, আল্লাহর কৌশল থেকে নিজেকে নিরাপদ ভাবা, আল্লাহর রহমত থেকে হতাশ হওয়া এবং আল্লাহর দয়া থেকে নিরাশ হওয়া।’ [আল মুজামুল কাবীর, তাবরানী, হাদিস: ৮৭৮৪]
কেউ এ জাতীয় কথা বলে তাহলে তার ঈমান চলে যাবে। তার ঈমান পুনরায় নবায়ন করে নিতে হবে।
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم