প্রশ্ন
আমার এক বন্ধু রমজান মাসে ধৈর্য্য ধারণ করতে না পেরে তার স্ত্রীর সাথে সহবাস করে ফেলে। তার স্ত্রী সহবাসে রাজি ছিল না। সে জোর করেই স্ত্রীর সাথে সহবাস করে ফেলে। প্রশ্ন হল, এ কারণে কি কাফফারা আবশ্যক হবে?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
সহবাসের কারণে উভয়ের রোজা ভেঙ্গে গিয়েছে। হাদিস শরিফে এসেছে,
‘আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি রাসূল (সা.)-এর নিকট এসে বললো, আমি ধ্বংস হয়ে গেছি। তিনি বলেন, কিসে তোমাকে ধ্বংস করলো। সে বললো, আমি রমজানের রোজারত অবস্থায় স্ত্রী সহবাস করেছি। রাসূল (সা.) বলেন, তুমি একটি গোলাম আযাদ করো সে বললো, আমার সেই সামর্থ্য নাই। তিনি বলেন, তাহলে একাধারে দু’ মাস রোজা রাখো। সে বললো, আমার সেই সামর্থ্যও নাই। তিনি বলেন, তাহলে ষাটজন মিসকীনকে আহার করাও।’ [সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস: ১৬৭১]
তবে স্ত্রী যেহেতু রাজি ছিল না তাই তার জন্য শুধু উক্ত দিনের রোজার কাযা করলেই যথেষ্ট হবে। কিন্তু আপনার বন্ধু যেহেতু স্বেচ্ছায় উক্ত কাজে লিপ্ত হয়েছে তাই তার জন্য কাযা কাফফারা উভয়ই করতে হবে।
ফাতওয়া হিন্দিয়া ১/২০৮
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم