প্রশ্ন
হায়েজা নারী কুরআনের আয়াত পড়ে কাউকে ফুঁ দিতে পারবে কি?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
হায়েজা নারী কুরআন তেলাওয়াত হিসেবে কুরআনের আয়াত পাঠ করতে পারবে না। হাদিস শরিফে এসেছে, রাসূল (সা.) ইরশাদ করেছেন,
لاَ تَقْرَإِ الْحَائِضُ وَلاَ الْجُنُبُ شَيْئًا مِنَ الْقُرْآنِ
‘ঋতুবতী নারী ও নাপাক ব্যক্তি (যার উপর গোসল ফরয) কুরআনের কোনো অংশ তেলাওয়াত করবে না।’ [সুনানে তিরমিযী, হাদিস: ১৩১]
তবে দোয়া বা জিকির হিসেবে কুরআন আয়াত পাঠ করতে পারবে। এতে শরিয়তের দৃষ্টিতে কোনো সমস্যা নেই। হাদিস শরিফে এসেছে, ইবরাহীম নাখয়ী (রহ.) বলেন,
الْحَائِضُ وَالْجُنُبُ يَذْكُرَانِ اللَّهَ وَيُسَمِّيَانِ
‘হায়েজা নারী আল্লাহর জিকির করতে পারবে এবং তাঁর নাম নিতে পারবে।’ [সুনানে দারেমী, হাদিস: ১০২৯]
সুতরাং হায়েজা নারী কুরআনের আয়াত পড়ে যে কাউকে ফুঁ দিতে পারবে।
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم