প্রশ্ন
আমার এক আত্মীয় সুদের সাথে জড়িত। তিনি আমাকে বারবার তার বাড়িতে দাওয়াত খেতে যেতে বলছেন। জানতে চাচ্ছি, তার বাড়িতে দাওয়াত খেতে যাওয়া যাবে কি?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
সুদখোর ব্যক্তির যদি হালাল-হারাম উভয় ধরনের সম্পদ থাকে এবং তার অধিকাংশ সম্পদ হালাল হয়, তাহলে তার দাওয়াত গ্রহণ করা যাবে। আর যদি অধিকাংশ সম্পদ হারাম হয়, তাহলে দাওয়াত গ্রহণ করা যাবে না।
আর যে সকল ক্ষেত্রে কিছুই জানা যাবে না, সে সকল ক্ষেত্রে দাওয়াত গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকার মাঝেই সতর্কতা রয়েছে। কারণ হাদিস শরিফে এসেছে,
إن الحلال بين، وإن الحرام بين، وبينهما مشتبهات لا يعلمهن كثير من الناس، فمن اتقى الشبهات استبرأ لدينه، وعرضه، ومن وقع في الشبهات وقع في الحرام
‘রাসূল (সা.) বলেছেন: হালাল বা বৈধ সুস্পষ্ট এবং হারাম বা অবৈধও সুস্পষ্ট আর এদুয়ের মধ্যবর্তী বিষয়গুলো হলো সন্দেহ জনক। আর বেশীর ভাগ লোকই সেগুলো (সম্পর্কে সঠিক পরিচয়) জানেনা। অতএব যে ব্যক্তি ঐ সন্দেহজনক জিনিসিগুলোকে পরিহার করলো সে তার দ্বীন ও মান-সম্মানকে পবিত্র রাখলো। আর যে ব্যক্তি সন্দেহ জনক জিনিসে জড়িয়ে পড়লো সে হারামের মধ্যে পড়ে গেল।’ [সহিহ মুসলিম, হাদিস: ১৫৯৯; সুনানে আবু দাউদ, হাদিস: ৩৩২৯]
তবে দাওয়াত গ্রহণ না করলে যদি আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন হওয়ার আশংকা দেখা দেয় তাহলে তার দাওয়াতে অংশগ্রহণ করবেন। সেক্ষেত্রে সুদের গুনাহ শুধু তার উপরই বর্তাবে। হাদিস শরিফে এসেছে,
جَاءَ رَجُلٌ إِلَى ابْنِ مَسْعُودٍ فَقَالَ: إِنَّ لِى جَارًا يَأكُلُ الرِّبَا، وَإِنَّهُ لَا يَزَالُ يَدْعُونِى، فَقَالَ: مَهْنَأُهُ لَكَ، وَإِثْمُهُ عَلَيْهِ
‘এক ব্যক্তি আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.)-এর কাছে এসে বলল, আমার এক প্রতিবেশি সুদ খায়। সে সর্বদা আমাকে তার বাসায় দাওয়াত দেয়। (এক্ষেত্রে আমি তার দাওয়াত কবুল করব?) তিনি বললেন, সেটি তোমার জন্য বিনা কষ্টের উপার্জন। আর এর গুনাহ তার উপর বর্তাবে।’ [আল জামিউল কাবীর, হাদিস: ৪৩০/১৮২]
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم