আমাদের দ্বীনি আমল বা উৎসব আমাদের জন্য, আর তোমাদের উৎসব বা ধর্মীয় পূঁজা তোমাদের জন্য।” সূরা শুরা:১৫ ”তোমাদের শিরকি ধর্মীয় উৎসব তোমাদের জন্য, আর আমাদের দ্বীনি বিধান আমাদেরই।”-সূরা আল কাফিরুন:৬ কোন ঈমানদার এর বিপরীত কাজ করতে পারে না। * এ ব্যাপারে মহানবী (সা.) সতর্ক বার্তা দিয়ে বলেন, “যদি কেউ অধিনস্ত কোনো অমুসলিমদের প্রতি জুলুম করে, তার অধিকার খর্ব করে, তার সামর্থের অধিক বোঝা চাপিয়ে দেয় অথবা তার অসন্তুষ্টিতে তার কোনো জিনিস নিয়ে নেয় আমিই কিয়ামতের ময়দানে ঐ অমুসলিমের পক্ষে সাক্ষী দিব (বুখারী –মুসলিম, فتح الباري (১২/৩০২) আহমদ: ৭৭) * অন্য হাদীসে বলা হয়েছে, “নিশ্চয় আল্লাহ তায়ালা অমুসলিমদের বাড়িতে বিনা অনুমতিতে প্রবেশ নিষেধ করেছেন। তাদের মহিলাদের সম্মানহানি করা যাবেনা, তাদের ফসল, ফলফলাদি ভক্ষণ করা যাবেনা।” (বুখারী মুসলিম, فتح الباري (১২/৩০২) আহমদ: ৭৭) * উমার ইবনে আব্দুল আজিজ বিভিন্ন প্রদেশে চিঠি লিখে পাঠান তোমার দেশে বয়বৃদ্ধদের, দুর্বলদের এবং স্বল্প আয়ের জনশক্তির তালিকা করে তাদের প্রয়োজনীয় খরচ বায়তুলমাল বা রাজকোষ থেকে বহন করবে।” (ত্ববারী : ৪/৪৪৯, বুলদান : ২৩৯, ইবনে খালদুন : ১/৪৩৫) *. অমুসলিমদের বিবাহ-তালাক, ভরনপোষন সবই তাদের ধর্মীয়রীতে সম্পাদন করা হবে। অমুসলিমদের পারস্পারিক আচার-আচারন ও লেনদেনের পূর্ণ স্বাধীনতা দিতে হবে। যেন তারা সংখ্যালঘু হওয়ার কারণে সংকোচ বোধ না করে। * রাষ্ট্রীয় সাধারণ আইন-কানুন, সামাজিক বিচার, দন্ডবিধি সবই মুসলিম অমুসলিম সকলের সমভাবে প্রযোজ্য। অমুসলিমদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাত, তাদের রুগিদের প্রতি সেবা-শ্রুশ্মা, তাদেরকে হাদীয়া তোহফা দেয়া ও তাদের বিভিন্ন প্রয়োজনে পাশে দাঁড়ানো মুসলিমদের উপরে অবশ্যই করণীয়।” ] أحكام أهل الذمة (২/ ৭৩৭).