খুলনা বিভাগীয় ইমাম সম্মেলন
২১ ফেব্র“য়ারী-০৮, স্থান-জিয়া হল, খুলনা।
الحمدلله رب العالمين، والصلواة السلام على رسوله الأمين.
বাংলাদেশ মসজিদ মিশন “দেশের সকল মসজিদকে মসজিদে নববীর আদর্শে হেদায়েত জারীর প্রতিষ্ঠানরুপে গড়ে তুলে মসজিদ কেন্দ্রিক সমাজ ব্যবস্থা কায়েমের চেষ্টার মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন” এ লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে ১৯৭৩ সাল থেকে কাজ করে আসছে। স্বাধীনতা উত্তর এক দ্বান্দ্বিক পরিবেশে যখন নবীন সমাজের কিছু অংশ এবং ইসলাম বিদ্বেষী কতিপয় বুদ্ধিজীবি ইসলামী আক্বীদাহ বিশ্বাস, চিন্তা-চেতনা, ইসলামী তাহজীব-তামাদ্দুন ও সংস্কৃতির বিরুদ্ধে প্রবল ঝড় তোলে এবং বিজাতীয় সংস্কৃতির বান সৃষ্টি করে। ওলামা মাশায়েখ, ইসলামী আদর্শের অনুসারী ইসলাম প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে নিয়োজিত মর্দে মুজাহিদ এবং ইসলামী মনোভাবাপন্ন লোকগণ প্রকাশ্যে পথে-ঘাটে অপমানিত লাঞ্চিত হতে থাকেন। অপসংস্কৃতি অনৈতিকতা বিবেক বিবর্জিত কর্মকান্ড ও অনৈসলামিক কাজের বিরুদ্ধে কথা বলা অপরাধ হিসেবে গন্য হতে থাকে। মসজিদ সমূহ এবং মসজিদের ইমামগণের পক্ষে সঠিক ভূমিকা রাখা সম্ভব ছিলনা। এমনি একটি পরিবেশে ইসলামী তাহজীব ও তামাদ্দুনকে রক্ষা করতে, মসজিদ ভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে দেশের শীর্ষস্থানীয় ইসলামী ব্যক্তিত্বগণের পরামর্শের ভিত্তিতে “বাংলাদেশ মসজিদ মিশন” প্রতিষ্ঠা করা হয়।
এর জন্য প্রনয়ন করা হয়েছে ঐতিহাসিক তিন দফা কর্মসূচী যথাঃ- এক- তাবলীগ ও দাওয়াত, দুই-শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ, তিন-সমাজ সেবা ও সমাজ সংস্কার।
এ তিন দফা কর্মসূচী নিয়ে বাংলাদেশ মসজিদ মিশন তার কাজ শুরু করে। হাটি হাটি পা, পা করে বাংলাদেশের সকল জেলা, ছয়টি মহানগরী এবং আরো সাতটি সাংগঠনিক জেলা সর্ব মোট ৭৭টি জেলাতে তার সর্বময় কর্মসূচী চালিয়ে যাচ্ছে।
সম্মানিত ইমাম সাহেবগণ! ইমামই সমাজের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব। এ ইমাম সাহেবদেরকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে যোগ্য রুপে গড়ে তোলা, মসজিদ সমূহকে ইসলামের প্রকৃত শিক্ষা কেন্দ্র ও উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের কেন্দ্র বিন্দু হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা ইমাম সাহেবদের মাধ্যমে নৈতিক উন্নয়ন, ইসলামী বিধানের পূর্ণ অনুশীলন, মুসল্লিদের ও মসজিদ কেন্দ্রিক সকলকে ইসলামী অনুশাসন ও ইসলামী বিধানের প্রতি আকৃষ্ট করার জন্য বাংলাদেশ মসজিদ মিশন বিভিন্নমূখী কর্মসূচী আঞ্জাম দিয়ে যাচ্ছে।
ইমাম প্রশিক্ষণ, হজ্জ প্রশিক্ষণ, সিম্পোজিয়াম সেমিনার, মসজিদ কেন্দ্রিক দারসুল কুরআন, দারসূল হাদীস প্রোগ্রাম, মসজিদ সমূহে নিয়মিত মাসআলা মাসায়েল, সহী কুরআন তালিমের ব্যবস্থা , আদর্শ ফোরকানিয়া মক্তব প্রতিষ্ঠা, আদর্শ হিফজখানা, উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা, গণশিক্ষাসহ, বিভিন্নমূখী প্রশিক্ষণ এবং স্বাস্থ্য-স্যানিটেশন, দারিদ্র বিমোচন, শিক্ষা-চিকিৎসা সাহায্য, ত্রাণ ও পূনর্বাসন কর্মসূচী, শীতবস্ত্র বিতরণ সহ নানা মুখী সমাজসেবা ও সমাজ সংস্কার মূলক কাজে বাংলাদেশ মসজিদ মিশন কার্যকরী পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করে আসছে।
সরকারের দুর্নীতি মুক্ত সমাজ গঠনের যুগান্তকারী পদক্ষেপকে মসজিদ মিশনের সর্বস্তরের দায়িত্বশীলবৃন্দ ও সারা দেশের ইমাম সাহেবগন আন্তরিকভাবে স্বাগত জানিয়েছে।
সম্মানিত ইমাম ভাইগণ বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বকে বিশ্বের দরবারে প্রশ্নের সম্মুখিন করা এবং ইসলামী মূল্যবোধ ক্ষতিগ্রস্থ করে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্যে যখন ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছিল, সেই ষড়যন্ত্রের অংশ কখনো জে এমবি নামে, কখনো হরকতুল জিহাদ নামে, কখনো জামায়াতুল মুজাহিদিন নামে, আবার কখনো পার্থ সাহা নামে, সারা দেশে একযোগে সিরিজ বোমা হামলার মাধ্যমে। এ ষড়যন্ত্রের মোকাবেলায় তখন বাংলাদেশ মসজিদ মিশন এদেশের ইমাম এবং খতীব সাহেবদেরকে নিয়ে ঢাকা মহানগর নাট্য মঞ্চে সেমিনার করে এবং সারা দেশের মসজিদ গুলোতে জুমার খুৎবায় এ সম্পর্কে আহবান জানিয়েছিলেন যে, এ সকল ষড়যন্ত্রকারীরা, বোমা হামলাকারীরা কখনো ইসলামের পক্ষের শক্তি হতে পারেনা। এরা ইসলামের দুশমনদের ক্রীড়ানক হিসেবে কাজ করছে। অপরদিকে ইসলামের বিধান হলো হাদীস শরীফে বলা হয়েছে المسلم من سلم المسلمون من لسانه ويده.
“একমাত্র মুসলমান সেই যার যবান এবং হাত থেকে অপর মুসলমানগণ নিরাপদ থাকেন।” এই আওয়াজ যখন মসজিদ মিশনের নেতৃত্বে বাংলার প্রায় তিন লক্ষ মসজিদ থেকে একযোগে এসেছিল তখন ইমাম-খতীব ও উলামা-মাশায়েখদের সার্বিক সহযোগিতায় সরকার সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে সন্ত্রাসীদেরকে চিহিৃত করে, বোমাবাজাদেরকে গ্রেপ্তার করে যথাযথ শাস্তি দিতে সক্ষম হয়েছিলেন। সাথে সাথে এ বিষয়ও সুস্পষ্ট হয়েছিল যে, এদেশের পরিচিত প্রসিদ্ধ ইসলামী কোন দল বা কোন ব্যক্তিত্ব বোমা হামলা বা সন্ত্রাসের সাথে জড়িত ছিলোনা। সন্ত্রাসীরা, বোমা হামলাকারীরা, জংগীরা কাজ শুরু করেছে। বোমা মেরে, হত্যা করে, সন্ত্রাস করে- অপর দিকে ইসলামী বিধান হলো সকল ধরনের সন্ত্রাস বন্ধ করে মানুষকে কল্যানের দিকে আহবান করা, অতএব ওরা দেশের, মানবতার শত্র“, ইসলামের শত্র“, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের শত্র“।لاارفابية في الاسلام
সম্মানিত আইম্মায়ে মাসাজিদ! আজও মসজিদ মিশনের ছায়াতলে ইমাম সাহেবগন দুর্নীতি মুক্ত সমাজ গড়ার আন্দোলনে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখতে সরকারের নির্ভূল ভোটার তালিকা ও জাতীয় পরিচয় পত্র প্রনয়নে সার্বিক সহযোগিতা করতে বদ্ধ পরিকর।
এজন্য আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধভাবে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। আমাদের মাঝে ক্ষুদ্র যত ইখতেলাফই থাকনা কেন একমাত্র আল্লাহর জন্য দ্বীনের স্বার্থে আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ না হতে পারি الاتحاد مع الاختلاف (ছোট খাটো মতপার্থক্য থাকা সত্বেও দ্বীনের বৃহত্তম স্বার্থে সবাই ঐক্যবদ্ধ) না করতে পারি তাহলে ইসলামের দুশমনরা আমাদের সমূহ ক্ষতি করে ফেলবে। আপনাকে আমাকে ব্যবহার করে ইসলামের বিরাট ক্ষতি করবে। যেমনিভাবে অল্প কয়েকদিন পূর্ব এদেশে তারা কিছু কিছু ব্যক্তিকে ব্যবহার করে ক্ষতি করার চেষ্টা করেছিল।
সে কারণে আইম্মায়ে মাসাজিদদেরকে সমাজের সবচেয়ে বড় দায়িত্বশীলের ভুমিকা পালন করতে হবে। সারা দেশের মসজিদ মিশনের যে সমস্ত শাখা রয়েছে, জেলা শাখা, থানা শাখা বিশেষ করে ইউনিয়ন শাখা এবং মসজিদ শাখা। সকল শাখায় শাখায় মুসল্লিদেরকে ইসলামের সঠিক জ্ঞান শিক্ষা দিয়ে যদি গড়ে তোলা যায় তাহলে সমাজ থেকে দুর্নীতি দূর হবে। সুদ, ঘুষ, মদ, জুয়া, নারী পাচারসহ সকল প্রকার অন্যায় অনৈতিক কাজকে দূর করতে ইমাম সাহেবদেরকে সবচেয়ে বেশি কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে পারেন, আমাদেরকে দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গড়ার জন্য অতন্দ্র প্রহরীর ভূমিকা পালন করতে হবে।
আমার মসজিদের মুসল্লি কে কোন দল করে এতে আমার কিছু যায় আসেনা বরং কিয়ামতের দিন যেদিন আল্লাহতায়ালা প্রত্যেক গোত্রকে ইমাম সহকারে আহবান করবেন সেদিন যদি আমি আমার সকল মুসল্লিদেরকে নিয়ে মুক্তি পেতে পারি তাহলে সেটাই হল আপনার আমার মহান সফলতা। আল্লাহ তায়ালার বাণী- يوم ندعو كل اناسى بامامهم
তাই ইমাম সাহেব তার প্রতিটি মুসল্লিকে টার্গেট করে করে সমাজ উন্নয়নে সমাজের সকল কর্মকান্ডে বিশেষ করে দুর্নীতি মুক্ত সমাজ গঠনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করার জন্য যোগ্যতা সম্পন্ন কর্মী হিসেবে গড়ে তুলবেন। যারা দরিদ্র এবং অসহায় রয়েছেন তাদেরকে মসজিদ কেন্দ্রিক ভাবে কর্ম সংস্থানের ব্যবস্থা করবেন। এরকম পদক্ষেপ যদি নেয়া হয় তাহলে অল্প সময়ের ব্যবধানে সমাজ থেকে সকল প্রকার দুর্নীতি দূর হবে ইনশাআল্লাহ।
আর নিজেদের মধ্যে সর্বাত্মক ঐক্য গড়ে তুলবেন। সামান্য বিষয় নিয়ে নিজেদের মাঝে অনৈক্য সৃষ্টি করা যাবেনা। আল্লাহ তায়ালা বলেন- فتشلوا رتدهب ريحكم
“তোমরা যদি পরস্পর মতপার্থক্য করো তাহলে তোমরা ভীরু, ভীত হয়ে পড়বে আর তোমাদের শক্তি নি॥শেষ হয়ে যাবে।”
হাদীস শরীফে বরা হয়েছে “তোমরা ঐক্যবদ্ধ থাকো, পরস্পর দ্বন্ধ করোনা।”
ইমাম সুফিয়ান সাওরী বলেছেন- اذا رأيت رجلا يعمل عملا وقد اختلف فيه وانت تراه فلا تتهاه
আপনি যখন কোন ব্যক্তিকে দেখবেন যে, তিনি এমন আমল করছে যে ব্যাপারে সাহাবায়ে কিরামগণের মাঝে ইখতিলাফ ছিল তাহলে তার মাসআলা তাকে আমল করতে দিন। যেহেতু বিষয়টি নিয়ে সাহাবীগণের মাঝে ইখতেলাফ ছিল তাই আপনার যেটা ভাল লাগে আপনি আমল করুন।
নামাজে কে কোথায় হাত বাঁধল, কে আমিন জোরে বলল, কে আস্তে বলল এতে কিছু যায় আসেনা বরং ইসলামের মৌলিক বিধান সমূহ নিয়ে যদি আমরা সকলে এক হতে পারি তাহলে সমাজের সামগ্রীক উন্নয়নে আমরা বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখতে পারবো ইনশাআল্লাহ।
হযরত সুফিয়ান সাওরী (রাঃ) এর এই ঐতিহাসিক অভিমতকে ইসলামী চিন্তাবিদগণ উসূল হিসেবে নির্ধারণ করে দিয়েছেন। অতএব আসুন আমরা সবাই সুফিয়ান সাওরীর (রাঃ) এই বক্তব্যের আলোকে ইসলামী শরিয়ার এ উসূলের আলোকে আমরা যে, যেই অবস্থানে আছি সকলের দ্বীন এক, রাসুল এক, কুরআন এক, হাদীস এক, টার্গেট এক তাই সকলে মিলে এক পতাকা তলে আবদ্ধ হয়ে আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে শরীক হই।
কবরে আমাদের জিজ্ঞাসা করা হবে না যে, তুমি কোন দলে ছিলে, জিজ্ঞাসা করা হবে না যে, কোন কোন মাকতাবে ফিকিরে কাজ করেছো। বরং কবরে যে তিনটি প্রশ্ন করা হবে এ প্রশ্নের জবাব দেয়ার জন্য আমরা যদি দুনিয়াতে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করে যেতে পারি তবে জবাব দেয়ার মত সুযোগ থাকবে ইনশাআল্লাহ।
আর সবশেষে একটি কথা না বললে নয়, যদি ও আমরা কাজ করে যাবো, স্মরন রাখতে হবে যে শয়তানের প্রেতাত্মারা, ইবলিসের উত্তরসূরীরা বসে নেই, সে কারণে দেখা যায় ইদানিং কিছু কিছু ধর্মদ্রোহী নাস্তিক কমনিষ্ট সহীহ ইসলামী দল ও পরিচিত প্রসিদ্ধ ইসলামী সংস্থা সমূহকে প্রশ্ন বিদ্ধ করার ষড়যন্ত্রে মত্ত হয়ে আন্তর্জাতিক চক্রান্তের অংশ হিসেবে বিভিন্ন মিডিয়ায় বিবৃতি ও টকশোর নামে মিথ্যা, বানোয়াট, কাল্পনিক, কুরুচিপূর্ণ উদ্ভট বক্তব্য দিয়ে সহজ সরল মানুষকে ধোঁকা দিয়ে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্রে মত্ত হয়ে উঠেছে।
বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ইস্যুকে পুঁজি করে ইসলামী দল ইসলামী ব্যক্তিত্বদেরকে হেয় প্রতিপন্ন এবং সরকারের সার্বিক সফলতাকে নস্যাৎ করার জন্য দেশকে অস্থিতিশীল করার পায়তারা করছে। কখনো ইসলামকে ব্যাঙ্গ করে, কখনো ইসলামী আইন সংশোধনের নামে, কখনো মহানবী (সাঃ) নিয়ে ব্যঙ্গ করে ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করে দুনিয়াতে সবচেয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি এ দেশে মুসলমানদের উস্কানি দিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল ও নৈরাজ্যকর পরিস্থিতে নিমজ্জিত করতে চায়। তাই এদেশের আইম্মায়ে মাসাজিদগণকে এ সকল ষড়যন্ত্রকারীদের সকল ষড়যন্ত্রকে নস্যাৎ করে দেয়ার জন্য এগিয়ে আসতে হবে। ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সকল ষড়যন্ত্রের মোকাবেলায় নিয়মতান্ত্রিক পন্থায় গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সচেতনভাবে ধৈর্য্য সহকারে কাজ করার জন্য মসজিদের ইমাম ও খতীব সাহেবদেরকে সজাগ থাকতে হবে এবং মসজিদ কেন্দ্রিক সমাজ কায়েমের জন্য নানা কর্মসূচী গ্রহন করে তা বাস্তবায়নের বাস্তব পদক্ষেপ গ্রহন করতে হবে। যাতে করে আজকের এই সময়ে ইমাম-খতীব সাহেবগণ যাবতীয় উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ডে কোন দিক থেকে পিছিয়ে না পড়েন ষড়যন্ত্রকারীদের খপ্পরে না পড়েন। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আমাদের সকল প্রচেষ্টা কবুল করুন।