প্রশ্ন
আমরা জানি, নবীগণ কামেল হয়ে থাকেন। কিন্তু মূসা (আ.) এর মুখে নাকি জড়তাছিল। প্রশ্ন হলো, এটি কি কামেল হওয়ার প্রতিবন্ধক নয়?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
মূসা (আ.) এর মুখের জড়তা জন্মগত ছিল না। বরং ছোটবেলায় আগুনের জ্বলন্ত অঙ্গার মুখে দেওয়ার কারণে এ সমস্যা হয়েছিল। আর যে সকল সমস্যা জন্মগত নয় তা কোনো মানুষ কামেল হওয়ার জন্য প্রতিবন্ধক নয়। তাছাড়াও আল্লাহ তাআলা যখন মূসা (আ.)-কে নবুওতের দায়িত্ব প্রদান করেন, তখন তিনি মুখের জড়তা নিরসনের জন্য দুআও করেছিলেন।
কুরআন মাজিদে ইরশাদ হয়েছে,
قَالَ رَبِّ اشْرَحْ لِي صَدْرِي* وَيَسِّرْ لِي أَمْرِي* وَاحْلُلْ عُقْدَةً مِّن لِّسَانِي* يَفْقَهُوا قَوْلِي
‘মূসা বলল: হে আমার রব, আমার বক্ষ আমার জন্য খুলে দাও (আমার মনে সাহস যোগাও)। আমার কাজ আমার জন্য সহজ করে দাও। আর জিহ্বা থেকে জড়তা দূর করে দাও। যাতে তারা আমার কথা বুঝতে পারে।’[সূরা ত্বাহা, আয়াত: ২৫-২৮]
আল্লাহ তাআলা তার দুআ কবুলও করেছিলেন।
আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন,
قَالَ قَدْ أُوتِيتَ سُؤْلَكَ يَا مُوسَى
‘আল্লাহ তাআলা বললেন, মূসা! তুমি যা চেয়েছো তোমাকে তা দেওয়া হল।’ [সূরা ত্বাহা, আয়াত: ৩৬]
সুতরাং এটি এমন কোনো ত্রুটি ছিল না যা নবুওতের দায়িত্বের জন্য বা কামেল হওয়ার প্রতিবন্ধক হবে।
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم