প্রশ্ন
ছেলেদের কত বছর বয়সে খতনা করানো ভালো?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
খতনা করা নবীগণের সুন্নত। তাই বিভিন্ন হাদিসে খতনা করানোর প্রতি গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
হাদিস শরিফে এসেছে,
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ الْفِطْرَةُ خَمْسٌ الْخِتَانُ، وَالاِسْتِحْدَادُ، وَنَتْفُ الإِبْطِ، وَقَصُّ الشَّارِبِ، وَتَقْلِيمُ الأَظْفَارِ
‘রাসূল (সা.) বলেছেন, ফিতরাত (তথা নবীগণের সুন্নত) পাঁচটি : খতনা করা, নাভীর নিচের পশম পরিষ্কার করা, বগলের পশম উঠানো, মোঁচ ছোট করা এবং নখ কাটা।’[সহিহ বুখারি, হাদিস: ৬২৯৭]
অভিভাবকের দায়িত্ব হলো, শারীরিকভাবে সামর্থ্যবান হওয়ার সাথে সাথেই ছেলের খতনা করিয়ে দেওয়া। দেরি না করা। তবে ফুকাহায়ে কেরামগণ বলেন, শারীরিকভাবে সামর্থ্যবান হওয়ার পাশাপাশি বালেগ হওয়ার আগেই তথা অনূর্ধ্ব ১২ বছরের মাঝেই খতনা করিয়ে দেওয়া উত্তম।
ফাতহুলবারী ১১/৯২, ৯/৫০৩, ১০/৩৫৫, ৪/৪১৩; রদ্দুল মুহতার ৬/৭৫১-৭৫২, ৬/২৮২; খুলাসাতুল ফাতাওয়া ২/১৩২; আলবাহরুর রায়েক ৭/৯৫-৯৬
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم