প্রশ্ন
আমরা তো বর্তমানে বিজ্ঞানের উৎকর্ষের যুগে বসবাস করছি। ছোট বড় সব কিছুতেই বিজ্ঞান তাক লাগিয়ে দিচ্ছে। কিন্তু এখনো দেখছি, কিছু লোক গাছের ছাল কিংবা ডাল দিয়ে দাঁত মাজে। আধুনিক যুগে গাছের ডাল দিয়ে দাঁত মাজার হেতু কী?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
ইসলাম পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা পছন্দ করে।
আল্লাহ তাআলা কুরআন মাজিদে বলেন,
‘নিশ্চয় আল্লাহ পবিত্রতাঅর্জনকারীদের ভালোবাসেন।’ [সূরা বাকারা, আয়াত: ২২২]
রাসূল (সা.) বলেন,
‘পবিত্রতা ঈমানের অঙ্গ।’ [সহিহ মুসলিম, হাদিস: ৫৫৬]
এরই ধারাবাহিকতায় ইসলাম মানুষের মুখের দুর্গন্ধ দূরকরণার্থে মেসওয়াক ব্যবহারের আদেশ দিয়েছে। আর এই মেসওয়াক তৈরি করা হয় সাধারণত নিম গাছের ডাল, বা পিলু গাছের শিকড় দিয়ে।
মেসওয়াকের অনেক ফযিলত রয়েছে। আমরা এখন সেগুলো উল্লেখ না করে বিজ্ঞানের দৃষ্টিকোণ থেকে মেসওয়াকের উপকারিতা কী তা আলোচনা করব।
ভারতীয় তিন অমুসলিম বিজ্ঞানী রচিত একটি গবেষণার শিরোনাম হলো, ‘টুথব্রাশের যুগে মেসওয়াক: একটি পর্যালোচনা’। এই গবেষণায় তারা মেসওয়াকের উপকারিতার কথা উল্লেখ করতে গিয়ে বলেন-
-ডালের আঁশগুলো দাঁতের উপর জমা সাদা আস্তর বা প্লাক সরিয়ে দেয়। এবং একই সাথে মাঁড়িকেও ম্যাসেজ করে।
-লালা নিঃসরণ বাড়ায়। ফলে ভেতরটা ভালোভাবে ওয়াশ হয়।
-ফ্লুরাইড-দাঁতক্ষয় প্রতিরোধ করে।
-ট্যানিন-মাড়ির প্রদাহ কমায়।
-অ্যাল্কালয়েড বা উপক্ষার জাতীয় পদার্থ মুখগহ্বরে জীবাণুধ্বংস করে।
-রেজিন-দাঁতের এনামেল-এর উপর আলাদা স্তর তৈরি করে ক্ষয় রোধ করে।
এছাড়াও আর বিভিন্ন ধরনের উপকারের কথা এই গবেষণায় এবং অন্যান্য গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে।
এগুলো তো হলো, বাহ্যিক উপকার। কিন্তু একজন মুসলমান তো কেবল তার প্রিয় নবীর মুহাব্বাতেই মেসওয়াককে বেছে নেয়। বাহ্যিক কোনো উপকার হোক বা না হোক, সর্বদা প্রিয় নবীর সুন্নতের উপর আমল করে চলে।
কষ্টিপাথর, পৃ. ৬৭-৭২
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم