প্রশ্ন
কুরবানীর গুরুত্ব ও ফযিলত সম্পর্কে জানতে চাই।
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
কুরবানী অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি আমল। এর ফযিলতও অনেক বেশি। আল্লাহ তাআলা তার রাসূলকে কুরবানী করার নির্দেশ দিয়েছেন।
কুরআন মাজিদে আল্লাহ তাআলা বলেন,
فصل لربك وانحر
‘অতএব আপনি আপনার রবের উদ্দেশ্যে নামাজ পড়ুন এবং কুরবানী আদায় করুন।’ [সূরা কাউসার, আয়াত: ২]
হাদিস শরিফে কুরবানী না করলে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারিত হয়েছে।
হাদিস শরিফে এসেছে, রাসূল (সা.) বলেন,
عن أبي هريرة قال : قال رسول الله صلى الله عليه وسلم : من وجد سعة لأن يضحي فلم يضح فلا يقربن مصلانا.
‘যার কুরবানী করার সামর্থ্য আছে তবুও কুরবানী করল না সে যেন আমাদের ঈদগাহে না আসে।’ [মুসনাদে আহমাদ ২/৩২১; মুস্তাদরাকে হাকেম ৭৬৩৯]
আর কুরবানীর ফযিলত সম্পর্কে রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন,
عن عائشة رضي الله تعالى عنها أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال : ما عمل آدمي من عمل يوم النحر أحب إلى الله من إهراق الدم، إنه ليأتي يوم القيامة بقرونها وأشعارها وأظلافها، وإن الدم ليقع من الله بمكان قبل أن يقع من الأرض، فطيبوا بها نفسا.
উম্মুল মুমিনীন আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, কুরবানীর দিনের আমলসমূহের মধ্য থেকে পশু কুরবানী করার চেয়ে কোনো আমল আল্লাহ তাআলারনিকট অধিক প্রিয় নয়। কিয়ামতের দিন এই কুরবানীকে তার শিং, পশম ও ক্ষুরসহ উপস্থিত করাহবে। আর কুরবানীর রক্ত জমিনে পড়ার আগেই আল্লাহ তাআলার নিকট কবুল হয়ে যায়। সুতরাং তোমরা সন্তুষ্ট চিত্তে কুরবানী কর।’ [জামে তিরমিযি, হাদিস:১৪৯৩]
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم