প্রশ্ন
বিভিন্ন বইয়ের শুরুতে লেখা থাকে- ‘লেখক/প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।’ বর্তমানে কিছু বইয়ে কথাটি আরো লম্বা করে লেখা থাকে। যেমন, ‘প্রকাশক এবং স্বত্বাধিকারীর লিখিত অনুমতি ছাড়া এ বইয়ের কোনো অংশের পুনরুৎপাদন বা প্রতিলিপি করা যাবে না, যান্ত্রিক উপায়ে কোনো প্রতিলিপি করা যাবে না, ডিস্ক বা তথ্য সংরক্ষণের কোনো যান্ত্রিক পদ্ধতিতে উৎপাদন বা প্রতিলিপি করা যাবে না। এ শর্তের লঙ্ঘন দেশীয় ও ইসলামী আইনি দৃষ্টিকোণ থেকে দণ্ডনীয়।’
এ কথার দ্বারা শরয়ী দৃষ্টিকোণ থেকে ক্রেতার কোনো ধরনের হস্তক্ষেপকে নিষেধ করা হয়? কেউ যদি উক্ত বই কেনার সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও নিজে ব্যবহারের জন্য অথবা বইটি দুষ্প্রাপ্য হওয়ার কারণে বা মূল বইয়ের দাম নিজ সামর্থ্যরে চেয়ে অনেক বেশি হওয়ার কারণে কারো থেকে তার মালিকানাধীন কপিটি নিয়ে ফটোকপি করে অথবা পিডিএফ তৈরি করে বা অন্য কোনো পদ্ধতিতে এর প্রতিলিপি তৈরি করে সংরক্ষণ করে তাহলে তা জায়েয হবে কি?
উত্তর
بسم الله الرحمن الرحيم
حامدا و مصليا و مسلما
কোনো বইয়ের স্বত্ব লেখক বা প্রকাশক কর্তৃক সংরক্ষিত হওয়ার উদ্দেশ্য হল, ঐ বইয়ের মুদ্রণ ও প্রকাশনার সকল অধিকার লেখক বা প্রকাশকের। এভাবে স্বত্ব সংরক্ষণ করা জায়েয। এক্ষেত্রে লেখক বা প্রকাশকের অনুমতি ছাড়া উক্ত বইয়ের মুদ্রণ ও বাজারজাত করা জায়েয নেই। তবে বাণিজ্যিক উদ্দেশ্য ছাড়া নিজ ব্যবহারের জন্য পিডিএফ বা ফটোকপি করা নিষেধাজ্ঞার অন্তর্ভুক্ত নয়। তাই কোনো বই দুষ্প্রাপ্য হওয়ার কারণে বা মূল বইয়ের দাম নিজের সাধ্যের চেয়ে অনেক বেশি হওয়ায় কারো মালিকানাধীন কোনো বই তার অনুমতি নিয়ে নিজ ব্যবহারের জন্য ফটোকপি করা বা অন্য কোনোভাবে এর প্রতিলিপি তৈরি করে সংরক্ষণ করা নাজায়েয নয়। এটি লেখকের حقوق তথা স্বত্বের খেলাফ বলে ধর্তব্য হবে না।
-মাজাল্লাতু মাজমাইল ফিকহিল ইসলামী, সংখ্যা ৫, ৩/২৫৮১
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم