প্রশ্ন
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, ফজর বা মাগরিবের নামাজের পরে ঘুমানো কি নাজায়েয? অনেকের কাছেই শুনি যে আছরের পরেও নাকি ঘুমানো হারাম। এব্যাপারে সঠিক তথ্য জানাবেন দয়া করে।
উত্তর
بسم الله الرحمن الرحيم
حامدا و مصليا و مسلما
১. ফজরের পর ঘুমানোর ব্যাপারে হাদিসে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের আলোকেও সকালে ঘুমানো স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। তবে ঘুমানো নাজায়েজ নয়।
রাসুলুল্লাহ (সা.) উম্মতের জন্য সকালের সময়ে বরকতের দোয়া করেছেন-
اللَّهُمَّ بَارِكْ لِأُمَّتِي فِي بُكُورِهَا
হে আল্লাহ! আপনি আমার উম্মতকে সকালবেলা বরকত দান করবেন। (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস: ২৬০৬; সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস: ২৩৬, ২২৩৭, ২২৩৮)
অন্য বর্ণনায় এসেছে- তিনি বলেছেন, আমার উম্মতের জন্য সকালবেলার সময়টাতে বরকত দেয়া হয়েছে।
সুতরাং কেউ যদি সকালের সময়টিতে ঘুমিয়ে থাকে তবে কিভাবে বরকত আসবে। এ কারণেই দিনের শুরুতে মহান আল্লাহর নাম নিয়ে কাজ শুরু করার মাধ্যমে বরকত ও কল্যাণ করা জরুরি।
২. আসরের নামাজের পর ঘুমানো মাকরুহ।
الفقه الإسلامي وأدلته للزحيلي (1/ 470):
“ويكره النوم بعد العصر لحديث: «من نام بعد العصر، فاختل عقله، فلا يلومن إلا نفسه»”. (3)
যে ব্যক্তি আসরের পর ঘুমায় আর তার বুদ্ধি কমে যায়, তবে সে যেন নিজেকে তিরস্কার করে। (মুসনাদে আবি ইয়ালা, বর্ণনা: ৪৮৯৭)
-আল ফিক্বহুল ইসলামী ১/৪৭০
৩. মাগরিবের পর ও ইশার আগে ঘুমানো হারাম বা নিষেধ নয়। তবে সাধারণত এই সময় ঘুমালে ইশার জামাতে সমস্যা হতে পারে। তাই অনুত্তম। তবে কারো যদি একান্ত প্রয়োজন হয় তাহলে তার জন্য আর কি-ই বা করার আছে!!
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم