প্রশ্ন
জনৈক ব্যক্তি তার স্ত্রীকে তিন তালাক দিয়েছে। একমাসের ভিতরে সেই নারীকে আরেক ব্যক্তি বিয়ে করেছে। তাদের মাঝে স্বামী স্ত্রী সুলভ আচরণও হয়েছে। পরবর্তীতে বিশেষ করণে সে তাকে তালাক দিয়েছে। জানতে চাচ্ছি, এই নারী প্রথম স্বামীর জন্য হালাল হবে কি?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
কোনো মহিলার ইদ্দত চলাকালে তাকে বিয়ে করা হারাম।
কুরআন মাজিদে এসেছে,
وَلَا جُنَاحَ عَلَيْكُمْ فِيمَا عَرَّضْتُمْ بِهِ مِنْ خِطْبَةِ النِّسَاءِ أَوْ أَكْنَنْتُمْ فِي أَنْفُسِكُمْ عَلِمَ اللَّهُ أَنَّكُمْ سَتَذْكُرُونَهُنَّ وَلَكِنْ لَا تُوَاعِدُوهُنَّ سِرًّا إِلَّا أَنْ تَقُولُوا قَوْلًا مَعْرُوفًا وَلَا تَعْزِمُوا عُقْدَةَ النِّكَاحِ حَتَّى يَبْلُغَ الْكِتَابُ أَجَلَهُ وَاعْلَمُوا أَنَّ اللَّهَ يَعْلَمُ مَا فِي أَنْفُسِكُمْ فَاحْذَرُوهُ وَاعْلَمُوا أَنَّ اللَّهَ غَفُورٌ حَلِيمٌ
‘আর এতে তোমাদের কোন পাপ নেই যে, তোমরা নারীদেরকে ইশারায় যে প্রস্তাব করবে কিংবা মনে গোপন করে রাখবে। আল্লাহ জেনেছেন যে, তোমরা অবশ্যই তাদেরকে স্মরণ করবে। কিন্তু বিধি মোতাবেক কোন কথা বলা ছাড়া গোপনে তাদেরকে (কোন) প্রতিশ্রুতি দিয়ো না। আর আল্লাহর নির্দেশ (ইদ্দত) তার সময় পূর্ণ করার পূর্বে বিবাহ বন্ধনের সংকল্প করো না। আর জেনে রাখ, নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের অন্তরে যা রয়েছে তা জানেন। সুতরাং তোমরা তাকে ভয় কর এবং জেনে রাখ, নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাশীল, সহনশীল।’ [সূরা বাকারা, আয়াত: ২৩৫]
যেহেতু দ্বিতীয় ব্যক্তি উক্ত মহিলাকে তার ইদ্দতের মাঝে বিয়ে করেছে তাই তাদের এই বিয়ে শুদ্ধ হয়নি। আর বিয়ে শুদ্ধ না হওয়ার কারণে উক্ত মহিলা তার পূর্বের স্বামীর জন্য বর্তমান অবস্থায় বৈধও হবে না।
আহকামুল কুরআন, থানভী (রহ.) ১/৫৯৬; আলবাহরুর রায়েক ৪/১৪৩; আদ্দুররুল মুখতার ৩/৪০৯-৪১০
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم