প্রশ্ন
ইহরাম অবস্থায় আতরের ঘ্রাণ নেওয়া যাবে কি?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
হানাফী মাযহাব মতে মুহরিম ব্যক্তির জন্য সুগন্ধী ব্যবহার করা বৈধ নয়। হাদিস শরিফে এসেছে,
عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّ رَجُلاً قَالَ يَا رَسُوْلَ اللهِ مَا يَلْبَسُ الْمُحْرِمُ مِنْ الثِّيَابِ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم لاَ تَلْبَسُوا الْقُمُصَ وَلاَ الْعَمَائِمَ وَلاَ السَّرَاوِيلاَتِ وَلاَ الْبَرَانِسَ وَلاَ الْخِفَافَ إِلاَّ أَحَدٌ لاَ يَجِدُ النَّعْلَيْنِ فَلْيَلْبَسْ خُفَّيْنِ وَلْيَقْطَعْهُمَا أَسْفَلَ مِنْ الْكَعْبَيْنِ وَلاَ تَلْبَسُوا مِنْ الثِّيَابِ شَيْئًا مَسَّه زَعْفَرَانٌ وَلاَ الْوَرْسُ
‘আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) হতে বর্ণিত যে, এক ব্যক্তি বলল, হে আল্লাহর রাসূল! মুহরিম কী কী পোশাক পরবে? রাসূল (সা.) বললেন, তোমরা জামা, পাগড়ী, পায়জামা, টুপি ও মোজা পরবে না। তবে যার জুতা নেই, সে শুধু মোজা পরতে পারবে, কিন্তু মোজা দু’টি পায়ের গোড়ালির নীচ থেকে কেটে ফেলবে। আর জাফরান ও ওয়ার্স রং লেগেছে, এমন কাপড় পরবে না।’ [সহিহ বুখারি, হাদিস: ৫৮০৩]
জাফরান আর ওয়ার্স সুগন্ধী বস্তু। এ কারণে রাসূল (সা.) তা পরিধান করতে নিষেধ করেছেন।
আরেক হাদিসে এসেছে,
إِذْ جَاءَهُ رَجُلٌ عَلَيْهِ جُبَّةُ صُوفٍ مُتَضَمِّخٌ بِطِيبٍ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ كَيْفَ تَرَى فِي رَجُلٍ أَحْرَمَ بِعُمْرَةٍ فِي جُبَّةٍ بَعْدَ مَا تَضَمَّخَ بِطِيبٍ….فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَمَّا الطِّيبُ الَّذِي بِكَ فَاغْسِلْهُ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ وَأَمَّا الْجُبَّةُ فَانْزِعْهَا
‘হঠাৎ এক ব্যক্তি সুগন্ধিযুক্ত জুব্বাহ পরিহিত অবস্থায় তার নিকট উপস্থিত হয়ে বলল, হে আল্লাহর রাসূল, এক ব্যক্তি জুব্বায় সুগন্ধি মেখে তা পরিহিত অবস্থায় উমরার ইহরাম বেঁধেছে, তার সম্পর্কে আপনার কী অভিমত?…. রাসূল (সা.) বললেন, তোমার সুগন্ধি তিনবার ধুয়ে ফেল এবং জুব্বাহ খুলে ফেল।’ [সহিহ মুসলিম, হাদিস: ২৬৯০]
কেউ যদি আতর ব্যবহার না করে শুধু ঘ্রাণ নেয় তাহলে তা নিষিদ্ধ না হলেও কাজটি মাকরূহ হবে। তবে উক্ত কারণে কোনো জরিমানা আসবে না।
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم