প্রশ্ন
একবার জামাতে নামায পড়ার সময় ইমাম সাহেবের সালাম ফিরানোর পর রাকাত সংখ্যা নিয়ে সন্দেহ হয় যে তিনি তিন রাকাত পড়েছেন নাকি চার রাকাত। হাতের দ্বারা ইশারা করে তিনি আমার কাছে জানতে চান। আমিও হাতের দ্বারা ইশারা করে বলে দেই। তিনি আরেক রাকাত পড়ে সাহ সেজদা করে নামায শেষ করেন। জানতে চাচ্ছি, ইশারার কারণে নামায ভেঙ্গে গিয়েছিল কি?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
নামাযরত অবস্থায় কথা বললে নামায ভেঙ্গে যায়। হাদিস শরিফে এসেছে,
عَنْ زَيْدِ بْنِ أَرْقَمَ قَالَ: كُنَّا نَتَكَلَّمُ فِي الصَّلَاةِ، يُكَلِّمُ الرَّجُلُ صَاحِبَهُ وَهُوَ إِلَى جَنْبِهِ فِي الصَّلَاةِ حَتَّى نَزَلَتْ {وَقُومُوا لِلهِ قَانِتِينَ} فَأُمِرْنَا بِالسُّكُوتِ وَنُهِينَا عَنِ الْكَلَامِ
‘যায়িদ ইবনু আরক্বাম (রা.) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমাদের কেউ সালাত আদায় অবস্থায়ই তার পাশের ব্যক্তির সাথে কথা বলতো। অতঃপর এ আয়াত নাযিল হয়, ’’তোমরা আল্লাহর একান্ত অনুগত হয়ে (সালাতে) দাঁড়াও’’ (সূরা আল-বাক্বারাহ: ২৩৮)। এ আয়াতে আমাদেরকে সালাতে চুপ থাকতে আদেশ দেয়া হয় এবং কথাবার্তা বলতে নিষেধ করা হয়।’ [সহিহ মুসলিম, হাদিস: ৫৩৯]
আপনারা যেহেতু কথা না বলে শুধু হাত দ্বারা ইশারা করেছেন তাই আপনাদের নামাযের কোনো ক্ষতি হয়নি। কাজেই ইমাম সাহেবের বাকি এক রাকাত সাহু সেজদা সহকারে পড়া সঠিক হয়েছে।
আদ্দুররুল মুখতার ১/৬৪৪
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم