প্রশ্ন
ফজরের নামাযের পর সূরা ইয়াসিন পাঠ করতে হয় কি?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
সূরা ইয়াসিনের ফজিলত সম্পর্কিত হাদিসটি জাল নয়, বরং যয়ীফ। হাদিসটি হল,
عَنْ أَنَسٍ، قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِنَّ لِكُلِّ شَيْءٍ قَلْبًا وَقَلْبُ الْقُرْآنِ يس وَمَنْ قَرَأَ يس كَتَبَ اللَّهُ لَهُ بِقِرَاءَتِهَا قِرَاءَةَ الْقُرْآنِ عَشْرَ مَرَّاتٍ
‘আনাস (রা.) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূল (সা.) বলেছেন, প্রত্যেকটা বস্তুর কলব (হৃদয়) আছে। কুরআনের কলব হচ্ছে সূরা ইয়াসিন। যে ব্যক্তি এ সূরা একবার পাঠ করবে আল্লাহ তাআলা এর পরিবর্তে তার জন্য দশবার কুরআন পাঠের সমান সওয়াব নিরূপণ করবেন।’ [সুনানে তিরমিযী, হাদিস: ২৮৮৭]
হাদিসটি যয়ীফ হলেও ফাজায়েলের ক্ষেত্রে যয়ীফ হাদিস আমলযোগ্য। সহিহ মুসলিমের ব্যাখ্যাকার ইমাম নববী (রহ.) লেখেন,
‘মুহাদ্দিসীন ও ফুকাহায়ে কেরাম এবং অন্যান্য ওলামায়ে কেরাম বলেন, দুর্বল হাদীসের উপর ফাজায়েল, উৎসাহ প্রদান ও ভীতি প্রদর্শন এর ক্ষেত্রে আমল করা জায়েয ও মুস্তাহাব। যখন উক্ত হাদিসটি জাল না হয়।’ [আল আজকার ৭-৮]
তবে ফজরের পর পাঠ করতে হবে এ মর্মে আমরা কোনো সহিহ হাদিস পাইনি। কাজেই যে কোনো সময়ই তা পাঠ করা যাবে।
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم