প্রশ্ন
আমার একবার স্বপ্নদোষ হয়। কিন্তু ঘুম জাগ্রত হওয়ার পর কোনো বীর্য শরীরে বা কাপড়ে দেখতে পাইনি। জানতে চাচ্ছি, উক্ত কারণে গোসল আবশ্যক হবে কি?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
বীর্যপাত হওয়া ছাড়া স্বপ্নদোষ হলে উক্ত কারণে গাসল ফরজ হয় না। হাদিস শরিফে এসেছে,
عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ، أَنَّهَا قَالَتْ جَاءَتْ أُمُّ سُلَيْمٍ امْرَأَةُ أَبِي طَلْحَةَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّ اللَّهَ لاَ يَسْتَحْيِي مِنَ الْحَقِّ، هَلْ عَلَى الْمَرْأَةِ مِنْ غُسْلٍ إِذَا هِيَ احْتَلَمَتْ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَعَمْ إِذَا رَأَتِ الْمَاءَ
‘উম্মুল মুমিনীন উম্মু সালামা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আবু তালহা (রা.)-এর স্ত্রী উম্মু সুলায়ম (রা.) আল্লাহর রাসূল (সা.) এর খিদমাতে এসে বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আল্লাহ তাআলা হকের ব্যাপারে লজ্জা করেন না। স্ত্রীলোকের ইহতিলাম (স্বপ্নদোষ) হলে কি ফরজ গোসল করবে? আল্লাহর রাসূল (সা.) বললেন, হাঁ, যদি তারা বীর্য দেখে।’ [সহিহ বুখারি, হাদিস: ২৮২]
তবে যদি বীর্যের কোনো আলামত পাওয়া তাহলে গোসল ফরজ হয়ে যাবে।
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم