প্রশ্ন
দম কিংবা কোরবানি আদায়ের সামর্থ্য না থাকলে কী করণীয়?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
ইহরাম অবস্থায় নিষিদ্ধ বিষয়ে লিপ্ত হলে বা হজ্বের কোনো ওয়াজিব তরক করলে দম ওয়াজিব হয়। একই ভাবে তামাত্তু ও কিরান হজ্ব আদায়কারীদের উপর অতিরিক্ত একটি কোরবানি ওয়াজিব হয়।
উক্ত দম কিংবা কোরবানি আদায়ের সামর্থ্য না থাকলে এর বিকল্প স্বরূপ হজ্জের আগে তিনটি ও দেশে ফেরার পর আরও সাতটি রোজা রাখতে রাখবে। প্রথম তিনটি রোজা কোরবানির ঈদের আগে কিংবা আইয়ামে তাশরীকের তিন দিনের মধ্যে রাখবে।
পবিত্র কুরআন মাজিদে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা বলেন,
فَإِذَا أَمِنْتُمْ فَمَنْ تَمَتَّعَ بِالْعُمْرَةِ إِلَى الْحَجِّ فَمَا اسْتَيْسَرَ مِنَ الْهَدْيِ فَمَنْ لَمْ يَجِدْ فَصِيَامُ ثَلَاثَةِ أَيَّامٍ فِي الْحَجِّ وَسَبْعَةٍ إِذَا رَجَعْتُمْ تِلْكَ عَشَرَةٌ كَامِلَةٌ
অর্থ: ‘আর যখন তোমরা নিরাপদ হবে তখন যে ব্যক্তি উমরার পর হজ সম্পাদনপূর্বক তামাত্তু করবে, তবে যে পশু সহজ হবে তা যবেহ করবে। কিন্তু যে তা পাবে না, তাকে হজ্বে তিন দিন এবং যখন তোমরা ফিরে যাবে, তখন সাত দিন সিয়াম পালন করবে। এই হল পূর্ণ দশ।’ [সূরা আল বাকারা, আয়াত: ১৯৬]
উল্লেখ্য যে, প্রথম ৩ টি রোজা কোনো কারণে হজ্বের দিনগুলোতে রাখতে না পারলে বাড়িতে এসেও রাখা যাবে।
এবং এ রোজাগুলো একাধারে রাখাও জরুরি নয়। সুবিধা মতো ভেঙ্গে ভেঙ্গে রাখা যাবে।
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم