প্রশ্ন
ঈদের পর দিন শাওয়ালের রোজা অবস্থায় এক আত্মীয়ের বাড়ি যাই। আত্মীয়ের পীড়াপীড়িতে রোজা ভেঙ্গে তাদের সাথে খানায় শরিক হই। আমার প্রশ্ন হল, মেহমানদারি রক্ষার্থে সেদিনের রোজা ভাঙ্গাতে আমার কি কোনো গুনাহ হয়েছে?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
শাওয়ালের রোজা নফল। আর মেহমানদারির কারণে নফল রোজা ভাঙ্গার অনুমতি রয়েছে। হাদিস শরিফে এসেছে,
عَنْ عَوْنِ بْنِ أَبِي جُحَيْفَةَ عَنْ أَبِيهِ قَالَ آخَى النَّبِيُّ بَيْنَ سَلْمَانَ وَأَبِي الدَّرْدَاءِ فَزَارَ سَلْمَانُ أَبَا الدَّرْدَاءِ فَرَأَى أُمَّ الدَّرْدَاءِ مُتَبَذِّلَةً فَقَالَ لَهَا مَا شَأْنُكِ قَالَتْ أَخُوكَ أَبُو الدَّرْدَاءِ لَيْسَ لَهُ حَاجَةٌ فِي الدُّنْيَا فَجَاءَ أَبُو الدَّرْدَاءِ فَصَنَعَ لَهُ طَعَامًا فَقَالَ كُلْ قَالَ فَإِنِّي صَائِمٌ قَالَ مَا أَنَا بِآكِلٍ حَتَّى تَأْكُلَ قَالَ فَأَكَلَ
‘আবু জুহায়ফা (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল (সা.) সালমান (রা.) ও আবু দারদা (রা.)-এর মাঝে ভ্রাতৃত্ব বন্ধন করে দেন। (একদা) সালমান (রা.) আবু দারদা (রা.)-এর সাথে সাক্ষাৎ করতে এসে উম্মু দারদা (রা.)-কে মলিন কাপড় পরিহিত দেখতে পান। তিনি এর কারণ জিজ্ঞাসা করলে উম্মু দারদা (রা.) বললেন, আপনার ভাই আবু দারদার পার্থিব কোনো কিছুরই প্রতি মোহ নেই। কিছুক্ষণ পরে আবু দারদা (রা.) এলেন। অতঃপর তিনি সালমান (রা.)-এর জন্য খাদ্য প্রস্তুত করান এবং বলেন, আপনি খেয়ে নিন, আমি রোজা পালন করছি। সালমান (রা.) বললেন, আপনি না খেলে আমি খাবো না। এরপর আবু দারদা (রা.) সালমান (রা.)-এর সঙ্গে খেলেন।’ [সহিহ বুখারি, হাদিস: ১৯৬৮]
তবে নফল রোজা রেখে ভেঙ্গে ফেললে তার কাযা করতে হয়। তাই অন্যদিন সেই রোজাটির কাযা করতে হবে।
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم