প্রশ্ন
আমাদের এলাকায় এক ব্যক্তি এক নারীর সাথে যিনা করে। সে নারীর এ সন্তানও হয়। কিছুদিন আগে সেই নারী অন্য জায়গায় বিয়ে বসে। এখন উক্ত যিনাকারী পুরুষটি দাবি করছে যে, উক্ত সন্তানটি তার। জানতে চাচ্ছি, এই দাবির কারণে কি উক্ত সন্তানের বংশ সেই যিনাকারী ব্যক্তি থেকে সাব্যস্থ হবে? সেই সন্তান কি ঐ ব্যক্তির উত্তরাধিকারী হবে?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
না, সেই যিনাকারীর স্বীকারোক্তির দ্বারা উক্ত সন্তানের বংশ তার থেকে সাব্যস্থ হবে না। এবং সে সন্তান তার উত্তরাধিকারী হিসেবে গণ্য হবে না। হাদিস শরিফে এসেছে,
عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، قَالَ: قَامَ رَجُلٌ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّ فُلَانًا ابْنِي عَاهَرْتُ بِأُمِّهِ فِي الْجَاهِلِيَّةِ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لَا دَعْوَةَ فِي الْإِسْلَامِ، ذَهَبَ أَمْرُ الْجَاهِلِيَّةِ، الْوَلَدُ لِلْفِرَاشِ وَلِلْعَاهِرِ الْحَجَرُ
‘আমর ইবনে শুআইব (রহ.) থেকে পর্যায়ক্রমে তার পিতা ও তার দাদার সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে বললো, হে আল্লাহর রাসূল! অমুক আমার পুত্র, জাহিলী যুগে আমি তার মায়ের সাথে যিনা করেছিলাম। রাসূল (সা.) বললেন, ইসলামে অবৈধ সন্তানের দাবির কোনো ব্যবস্থা নেই। আর জাহিলী যুগের প্রথা বাতিল হয়ে গেছে। বিছানা যার সন্তান তার এবং যিনাকারীর জন্য রয়েছে পাথর।’ [সুনানে আবু দাউদ, হাদিস: ২২৭৪]
সুতরাং সেই ব্যক্তির এই দাবি প্রত্যাখ্যাত হবে।
ফাতওয়া হিন্দিয়া ১/৫৪০
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم