প্রশ্ন
আমি একটি বইয়ে পড়েছি যে, স্ত্রীর গোপনাঙ্গের দিকে তাকালে নাকি চোখের জ্যোতি কমে যায়। প্রশ্ন হলো, ইসলামি শরিয়তে এর কি কোনো ভিত্তি আছে? স্ত্রীর গোপনাঙ্গের দিকে তাকানো কি নিষেধ?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
শরিয়তের দৃষ্টিতে স্ত্রীর গোপনাঙ্গের দিকে তাকানো দোষণীয় নয়। বরং স্বামী তার স্ত্রীর গোপনাঙ্গের দিকে তাকাতে পারবে।
হাদিস শরিফে এসেছে,
‘বাহয ইবনে হাকীম থেকে তার পিতা ও দাদার সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূল (সা.)-কে প্রশ্ন করলাম, হে আল্লাহর রাসূল! আমাদের ঢেকে রাখার অঙ্গসমূহ কার সামনে আবৃত রাখব এবং কার সামনে অনাবৃত করব? তিনি বলেন, তোমার স্ত্রী ও দাসী ব্যতীত সকলের সামনে তা আবৃত রাখ। বর্ণনাকারী বলেন, যতদূর সম্ভব কেউ যেন অন্যের গোপন অঙ্গের দিকে না তাকায়। বর্ণনাকারী বলেন, আমি প্রশ্ন করলাম, হে আল্লাহর রাসূল আমাদের কেউ যখন নির্জনে থাকে? তিনি বলেন, লজ্জার ব্যাপারে আল্লাহ মানুষের চেয়ে অধিক হকদার।’ [সুনানে আবু দাউদ, হাদিস: ৪০১৭]
হাদিসের ব্যাখ্যায় ইবনে হাজার আসকালানী (রহ.) বলেন,
‘তুমি তোমার স্ত্রী ছাড়া’ (إِلَّا مِنْ زَوْجَتِكَ)-এর দ্বারা বোঝা যায়, স্বামী-স্ত্রী পরস্পরের গোপনাঙ্গের দিকে তাকানো জায়েয। যুক্তিও বলে, এটা জায়েয হবে।’ [ফাতহুল বারী ১/৩৮৬]
সুতরাং স্ত্রীর গোপনাঙ্গের দিকে তাকানো বৈধ। তবে স্বামী বা স্ত্রী কারও গোপন অঙ্গের দিকে না তাকানোই উত্তম। অবশ্য চোখের জ্যোতি কমে যাওয়ার বিষয়ে যে কথা প্রচলিত আছে তা ভিত্তিহীন।
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم