প্রশ্ন
কিছুদিন আগে আমার এক বন্ধু বিয়ে করেছে। কিন্তু তার স্ত্রীর আচার আচরণ ভালো নয়। তার সাথে তার সম্পর্কও খারাপ। তাই সে চাচ্ছে তাকে তালাক দিয়ে দিতে। এক্ষেত্রে তালাক দেওয়ার সর্বোত্তম পদ্ধতি কোনটি?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
শরিয়তের দৃষ্টিতে সবচেয়ে নিকৃষ্ট বৈধ কাজ হলো তালাক। এ কারণে তালাক দেওয়ার ক্ষেত্রে খুব ভেবে চিন্তে সিন্ধান্ত নিতে হয়। এক্ষেত্রে উভয় পক্ষের মুরব্বিদের মাধ্যমে মিমাংসার চেষ্টা করতে হয়।
কুরআন মাজিদে এসেছে,
وَإِنْ خِفْتُمْ شِقَاقَ بَيْنِهِمَا فَابْعَثُوا حَكَمًا مِنْ أَهْلِهِ وَحَكَمًا مِنْ أَهْلِهَا إِنْ يُرِيدَا إِصْلَاحًا يُوَفِّقِ اللَّهُ بَيْنَهُمَا إِنَّ اللَّهَ كَانَ عَلِيمًا خَبِيرًا
‘আর যদি তোমরা তাদের উভয়ের মধ্যে বিচ্ছেদের আশঙ্কা কর তাহলে স্বামীর পরিবার থেকে একজন বিচারক এবং স্ত্রীর পরিবার থেকে একজন বিচারক পাঠাও। যদি তারা মীমাংসা চায় তাহলে আল্লাহ উভয়ের মধ্যে মিল করে দেবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ সর্বজ্ঞানী, সম্যক অবগত।’ [সূরা নিসা, আয়াত: ৩৫]
এরপরও যদি দুইজনের মাঝে মিল না হয় এবং পরস্পরের হক আদায় ও শরিয়ত মোতাবেক চলা সম্ভব না হয়, তাহলে হায়েজ বা নেফাস থেকে পবিত্র হওয়ার পর সহবাস না করে এক তালাক দেওয়া এবং ইদ্দত শেষ হওয়া পর্যন্ত এভাবেই তাকে ছেড়ে দেওয়া ও স্বামী স্ত্রী সুলভ আচরণ না করা। ইদ্দত শেষ হয়ে এক তালাকে বায়েন পতিত হবে। এর দ্বারা বৈবাহিক সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। এটিই হলো সর্বোত্তম তালাক। কারণ এক্ষেত্রে মহিলা ইচ্ছা করলে অন্য পুরুষকেও বিয়ে করতে পারবে আবার কখনো তারা পরস্পর বৈবাহিক সম্পর্ক করতে চাইলে তারও সুযোগ রয়েছে।
আলআওসাত, ইবনুল মুনযির ৯/১৩৯; রদ্দুল মুহতার ৩/২২৮; আলবাহরুর রায়েক ৩/২৩৬; বাদায়েউস সানায়ে ৩/১৪০-১৪২, ৩/২৮৩
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم