প্রশ্ন
এক বক্তা সুর দিয়ে ওয়াজ করেন। তার ওয়াজ শুনলে অন্তর কোমল হয়ে যায়। এমন বক্তার ওয়াজ শোনা যাবে কি?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
যিনি কুরআন হাদিসের আলোকে ওয়াজ করেন, তার ওয়াজ শোনা যাবে। সেক্ষেত্রে তিনি যদি সুর দিয়েও ওয়াজ করেন তাতেও কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু কোনো বক্তা যদি বানোয়াট হাদিস ও বানোয়াট ঘটনাবলি দ্বারা ওয়াজ করে থাকে, তার ওয়াজ দ্বারা যতই অন্তর কোমল হোক না কেন, তার ওয়াজ শোনা উচিৎ হবে না।
হাদিস শরিফে এসেছে,
عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّه“ قَدِمَ رَجُلاَنِ مِنْ الْمَشْرِقِ فَخَطَبَا فَعَجِبَ النَّاسُ لِبَيَانِهِمَا فَقَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم إِنَّ مِنْ الْبَيَانِ لَسِحْرًا أَوْ إِنَّ بَعْضَ الْبَيَانِ لَسِحْرٌ
‘আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার পূর্ব অঞ্চল (নজদ এলাকা) থেকে দু’জন লোক এল এবং দু’জনই ভাষণ দিল। লোকজন তাদের ভাষণে বিস্মিত হয়ে গেল। তখন রাসূল (সা.) বললেন: কোনো কোনো ভাষণ অবশ্যই যাদুর মত।’ [সহিহ বুখারি, হাদিস: ৫৭৬৭]
আরেক হাদিসে এসেছে,
قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم لاَ تَكْذِبُوا عَلَىَّ، فَإِنَّهُ مَنْ كَذَبَ عَلَىَّ فَلْيَلِجِ النَّارَ
‘রাসূল(সা.) বলেছেন: তোমরা আমার উপর মিথ্যারোপ করো না। কারণ আমার উপর যে মিথ্যারোপ করবে সে জাহান্নামে যাবে।’ [সহিহ বুখারি, হাদিস: ১০৬]
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم